‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যাচ্ছি।’’ – দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের লক্ষ্যর কথা এভাবেই জানিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজেদের গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের মতো দল থাকলেও বাংলাদেশ নকআউট পর্ব তো বটেই, ফাইনালও জয়ের স্বপ্ন দেখছে।

মুখের কথায় যে আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছিল, মাঠের ক্রিকেটে তার ছিটেফোঁটাও দেখা মিলল না। বরং বিশ্বাসের ঘাটতি প্রকট আকারে দেখা গেল। পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অথচ এই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে জ্বালানি তো পেলই না বরং প্রবল বাজে পারফরম্যান্সে প্রস্তুতির ঘাটতিই ফুটে উঠল।

প্রতিপক্ষ দলে বড় নাম ছিল না। অথচ তারাই হেসেখেলে হারিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর নির্বিষ বোলিংয়ে এলোমেলো পারফরম্যান্স গোটা দলের। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮.

২ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শাহীনস ৩৪.২ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

আরো পড়ুন:

ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলতে চান নবী, এখনই অবসর নয়

স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা না রাখার ব্যাখ্যা দিলো পাকিস্তান

সৌম‌্য সরকার ৩৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৪ ও তানজিম সাকিব ৩০ রান করেন। এছাড়া বিশের ঘর ছুঁয়েছেন কেবল তাওহীদ হৃদয়। বাকিরা কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। সৌম‌্য ৪ চারে ৩৮ বলে ৩৫ রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে মিরাজ ৫৩ বলে ৩টি চার হাঁকান। বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি আসে তানজিম সাকিবের ব‌্যাট থেকে। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান লেজের এই ব‌্যাটসম‌্যান।
পাকিস্তান শাহীনসের হয়ে বল হাতে উসামান মির ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন মুসা খান।

লক্ষ‌্য তাড়ায় মোহাম্মদ হারিসের ৭৬ রানের ইনিংসে পাকিস্তান শাহীনস সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। এছাড়া আজান আওয়াইজ ২৮, উমর ইউসুফ ৩১ রান করেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি ওমর ইউসুফ।

বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর্দা উঠবে। পরের দিন মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভারত পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় তাদের ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ে। এজন্য বাংলাদেশকে প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে দুবাইতে। ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুইটি ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।

ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও