নয়াদিল্লি পৌঁছেছে বিজিবির প্রতিনিধিদল, বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু মঙ্গলবার
Published: 17th, February 2025 GMT
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য নয়াদিল্লি পৌঁছেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার বিজিবি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের রাজধানীতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির লোধি রোডে অবস্থিত বিএসএফের প্রধান কার্যালয়ে দুই বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিরা সীমান্তে বেড়া এবং সীমান্ত উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি বিজিবির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। বিজিবির প্রতিনিধিদল আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করবে।
গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই প্রথম দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছে। বৈঠকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং বিএসএফের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীটির মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।
২০ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হবে। সেদিন যৌথ আলোচনার ঘোষণায় সই করবে দুই পক্ষ। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, দুই বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আলাপ হবে। এর আগে গত বছরের মার্চে ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এসএফ র
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।