ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য নয়াদিল্লি পৌঁছেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার বিজিবি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের রাজধানীতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির লোধি রোডে অবস্থিত বিএসএফের প্রধান কার্যালয়ে দুই বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিরা সীমান্তে বেড়া এবং সীমান্ত উত্তেজনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি বিজিবির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। বিজিবির প্রতিনিধিদল আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করবে।

গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই প্রথম দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছে। বৈঠকে বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং বিএসএফের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বাহিনীটির মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।

২০ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হবে। সেদিন যৌথ আলোচনার ঘোষণায় সই করবে দুই পক্ষ। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, দুই বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আলাপ হবে। এর আগে গত বছরের মার্চে ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ