ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবকে কেন বেছে নিল ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 17th, February 2025 GMT
ইউক্রেন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয় যে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি কূটনৈতিকভাবে যেভাবে প্রায় অচ্ছুত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল, সেখান থেকে রিয়াদ বের হয়ে এসেছে।
সৌদি আরব, বিশেষ করে দেশটির ‘ডি ফ্যাক্টো’ নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তা সরে গেছে বলেই দেখা যাচ্ছে। যদিও এখনো মাঝেমধ্যে আন্তর্জাতিক ফোরামে সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে সৌদি আরব বিনোদন, খেলাধুলাসহ আরও অনেক খাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে। কূটনৈতিক দিক থেকেও সৌদি নেতৃত্ব নিজেদের ভূমিকা বাড়াচ্ছে। জো বাইডেনের মেয়াদের বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হওয়া হওয়ার পরও ওয়াশিংটনের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়েছে রিয়াদ।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। রিয়াদে, ১৭ ফেব্রুয়ারি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।