সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণেই দৃশ্যটি অনেকের চোখে পড়ে। এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে গতকাল ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ৮ দলের মধ্যে ৭ দলের পতাকা লাগানো হয়েছে। নেই শুধু ভারতের পতাকা।

তখনই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের পতাকা লাগায়নি? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওঠে আলোচনার ঝড়। আজ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে পিসিবি।

পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এটি পিসিবির পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ ছিল না; বরং আইসিসির নির্দেশনার কারণে এমনটি হয়েছে।

বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ চলাকালে শুধু চারটি পতাকা উত্তোলন করা হবে—আইসিসি, পিসিবি এবং সেদিনের ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দুটি দলের। যেহেতু ভারতীয় দল পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ খেলবে না, তাই দেশটির তিন ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের পতাকা উড়বে না।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরাপত্তা: চলছে গোয়েন্দা অভিযান, ১২ হাজারের বেশি পুলিশ, থাকছে স্নাইপারও১ ঘণ্টা আগে

পিসিবির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আইসিসি নির্দেশ দিয়েছে যে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালে শুধু চারটি পতাকা উত্তোলন করা হবে—আইসিসি, পিসিবি এবং সেদিনের ম্যাচে অংশ নেওয়া দুই দল। বিষয়টি একদম পরিষ্কার।’

ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ