পোল্ট্রি খামারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার তাগিদ
Published: 18th, February 2025 GMT
শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবী জুড়েই প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস পোল্ট্রি। বাংলাদেশে বছরে ১৫-২০ শতাংশ হারে এই শিল্পের প্রবৃদ্ধি ঘটছে। তবে পোল্ট্রি শিল্পের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ ও টেকসই উৎপাদন। এ জন্য প্রতিটি খামারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে। পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রতিটি খামারেই বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি সেমিনার বক্তারা এ কথা বলেন। দুইদিনব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। এতে পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৮৮টি দেশি-বিদেশি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াপসা-বিবির সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। তাই অভিধান থেকে অপুষ্টি শব্দটি মুছে ফেলতে হবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের ধারণা পোল্ট্রিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, ফাইটোজেনিক, এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহৃত হচ্ছে।
ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন, পোল্ট্রি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষকরা পোল্ট্রি বিজ্ঞানকে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন সমাধান উপহার দিচ্ছেন। গত ২৮ বছর ধরে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখা ব্যবসা ও বিজ্ঞানের মাঝে সম্পর্কের সেতু বন্ধন তৈরি করেছে। জরাজীর্ণতাকে কাটিয়ে নতুন এক সম্ভাবনাময় দেশ গড়ার ডাক এসেছে আমাদের সবার জন্য। সাধারণ খামারীদের কথা ভাবতে হবে, কারণ তাদের সংখ্যাই বেশি। খামার থেকে শুরু করে খাবারের প্লেট পর্যন্ত পুরো চেইনকেই সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে।
সেমিনারের গবেষক ও বক্তারা বলেন, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকলে কাউকেই পোল্ট্রি খামারের নিবন্ধন দেওয়া ঠিক হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানীদের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মুরগির জাত উদ্ভাবন করতে হবে। রিসাইক্লিংয়ের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। সরকার পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ শিল্প স্থাপনে প্রণোদনা এবং স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে- এই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে।
প্রথম দিনের সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসির অধ্যাপক ড.
সেমিনার শেষে বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো। বিশ্বের ১৭টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও পণ্যের পসরা নিয়ে এতে হাজির হবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ১৩তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বেলা তিনটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশন হবে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে বিএমএ মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এবারের কংগ্রেস থেকে ১৭ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিবির রণকৌশল নির্ধারণ ও ভবিষ্যতের লড়াই-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সিপিবির কংগ্রেস সামনে রেখে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাইদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিহির ঘোষ। বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমও। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।
সিপিবির নেতারা বলেন, সমাজবদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারা দেশে দলের শাখা, থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৫২৫ জন প্রতিনিধি। এ ছাড়া ২৬ জন পর্যবেক্ষক কংগ্রেসে অংশ নেবেন। দেড় শতাধিক ভেটেরান (অভিজ্ঞ) সদস্যকে কংগ্রেসে সম্মাননা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নানা বাস্তবতায় সিপিবির এবারের কংগ্রেসে বিদেশি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা যোগদান করছেন না। তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সিপিবির কংগ্রেস উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা আসতে শুরু করেছে। এবারের কংগ্রেস থেকে ১৭ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে সিপিবির আগামী দিনের সংগ্রাম, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিপিবির রণনীতি-রণকৌশল নির্ধারণসহ ভবিষ্যতের লড়াই-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে সিপিবির এই কংগ্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির মিডিয়া উপপরিষদের আহ্বায়ক লাকী আক্তার সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদক, সদস্য এবং কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির বিভিন্ন উপপরিষদের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।