মেহজাবীনের সিনেমা দিয়ে পর্দা নামছে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের
Published: 19th, February 2025 GMT
সময়টা ভালোই যাচ্ছে অভিনেত্রীর অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবীন চৌধুরীর। চলতি মাসেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত এ তারকা। আজ তাঁর অভিনীত ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা দিয়েই পর্দা নামবে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে দেখানো হবে শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত এ সিনেমাটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ২৩তম আসর। প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র [টিএসসি] মিলনায়তনে। পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবের পর্দা নামছে আজ। আজ সকাল ১০টায় প্রদর্শিত হয়েছে দেওয়ান নজরুল পরিচালিত সিনেমা ‘দোস্ত দুশমন’। দুপুর ১টায় ছিল কাজী হায়াতের সিনেমা ‘আম্মাজান’,বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে প্রদর্শিত হবে ইকবাল হোসেন চৌধুরী পরিচালিত সিনেমা ‘বলী’।
সমাপনী দিনের বিকেলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য [প্রশাসন] সায়মা হক বিদিশা। এ ছাড়া নির্মাতা কাজী হায়াতেরও থাকার কথা রয়েছে আয়োজনে।
এদিকে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ এ গতকাল প্রকাশ পেয়েছে মেহজাবীন অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘নীল সুখ’। এতে তাঁর বীপরীতে অভিনয় করেছেন ফররুখ আহমেদ রোহান। কাজটি নিয়ে বেশ আশাবাদী এই তারকা অভিনেত্রী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’