আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারী কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার
Published: 19th, February 2025 GMT
জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারী কাপ ব্যাটমিন্টন (ডাবল) টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা আইনজীবী সমিতির সংলগ্ন মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলায় অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত ও অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ টিমকে হারিয়ে অ্যাডভোকেট সোয়েব আহমেদ শুভু ও অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ সুমন টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিচারক (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) মো.
এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, জেলা আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা। এছাড়াও আরও উপস্থিত থাকবেন আইনজীবী সমিতির সদস্যবৃন্দ।
টুর্নামেন্টের আয়োজনে পরিচালনায় ও সহযোগীতায় ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি।
টুর্নামেন্টে বিজয়ী টিমকে ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি ও রানার আপ টিমকে ২৮ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি পুরস্কৃত করা হয়। গত ২০ জানুয়ারী থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল উপস থ ত আইনজ ব অন ষ ঠ ম আজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে