২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলন। ১৩ প্রশ্ন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার কোর্টে। সোজা ব‌্যাটে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলার মতোই রোহিতের প্রতিটি উত্তর। একদমই সাদামাটা। ম‌্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবনা, পরিকল্পনা, নিজেদের লক্ষ‌্য, প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অধিনায়কের কথাতেও ফুটে উঠে সেসব।

অথচ আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে ভারতের অধিনায়কের বেশ লম্বা সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠল না একবারও। ১৩ প্রশ্নের কোনোটাতেই ছিল না বাংলাদেশের নাম। রোহিতের উত্তরেও ছিল না বাংলাদেশ। যার কোনো ব্যাখ‌্যা নিশ্চিতভাবেই থাকবে না। ভেন্যুতে উপস্থিত না থাকায় এই প্রতিবেদকের বাড়তি কিছু জানার সুযোগ নেই।

২০১৭ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত রানার্সআপ হয়েছিল। আইসিসি আয়োজিত সবশেষ টুর্নামেন্টে ভারত জিতেছিল শিরোপা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এছাড়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা ঘরের মাঠে হয়েছিল রানার্সআপ। বৈশ্বিক এই আসরে তাদের থেকে সমর্থকদের প্রত‌্যাশা বেশ ভালোভাবেই জানেন রোহিত। সেভাবেই টুর্নামেন্টে এগিয়ে যেতে চান—

আরো পড়ুন:

ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে

এপ্রিলে হতে পারে অধ্যাপক ইউনূস-মোদি বৈঠক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘‘২০১৭ সালের পর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আট বছর হয়ে গেল। দেখুন আপনি যতগুলো আইসিসি ইভেন্ট খেলবেন প্রতিটিই জিততে চাইবেন। প্রতিটি সমান গুরুত্বের। শুধু এই চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি নয়, শেষ বিশ্বকাপ যেটা আমরা খুব ভালো খেলেছি সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এবারও তার কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা এখানে শিরোপা উচিয়ে ধরতেই এসেছি।’’

‘‘তবে শিরোপা ধরার জন‌্য বেশ কিছু বিষয় সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। দল হিসেবে আমাদের নজর থাকবে মাঠে নিজেদের কাজগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া। এটাই আমাদের লক্ষ‌্য, ভাবনা। আমরা কিভাবে একটি একটি করে ম‌্যাচ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং সেখান থেকে পরবর্তী ম‌্যাচ খেলতে পারি।’’

নিজের দল নিয়ে রোহিত বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘‘এই টুর্নামেন্ট হোক বা আইসিসির যেকোনো আয়োজন কিংবা ভারতের হয়ে যেকোনো ম‌্যাচ খেলতে নামা আমাদের জন‌্য অনেক বড় গর্বের। ভারতের হয়ে খেলতে পারা, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা দারুণ কিছু। শুধু আমার জন‌্যই না, স্কোয়াডে থাকা ১৪ জনের জন‌্যও একই অনুভূতি।’’

‘‘আমাদের জন‌্য গুরুত্বপূর্ণ আগামীকালকে ভালো শুরু করা। দলের প্রত্যেকে জানে তাদের কি করতে হবে। আমরা জানি আমাদেরকে কি করতে হবে, সেটা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’’ –যোগ করেন রোহিত।

ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

এর ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবেন। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। সংক্ষুব্ধ চাকরিজীবীদের এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

পরিপত্রে যা বলা হয়েছে
২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, একই পদে কর্মরত কোনো সরকারি কর্মচারী দুই বা তার চেয়ে বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকলে নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। তবে ইতোমধ্যে একটিমাত্র টাইম স্কেল অথবা সিলেকশন গ্রেড পেলে নতুন স্কেলে শুধু একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন।

পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রদত্ত এসব আর্থিক সুবিধা কোনোক্রমেই ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে দেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে পরিপত্রের এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সংক্ষুব্ধ সরকারি চাকরিজীবীরা।

মূল পে-স্কেলে যা বলা আছে
সরকারি চাকরিতে নিচের স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ সীমিত। এসব পদোন্নতিবঞ্চিতদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বহুল আলোচিত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পুরোনো প্রথা বাতিল করে। একইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রথা প্রবর্তন করে। নতুন স্কেল অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর চাকরি করার পর পদোন্নতি না পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এরমধ্যে একটি পাবেন চাকরির ১০ বছর পর (১১তম বছরে)। আর অপরটি ১৬ বছর পর অর্থাৎ ১৭তম বছরে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল পে-স্কেলে এ বিধান করা হলেও এ সুবিধা কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা ছিল না। এ প্রেক্ষাপটে মূল পে-স্কেলে উল্লেখিত নিয়ম কার্যকর করতে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। মূল পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার ৩ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এটি জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন