চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বলা হতো চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন। নতুন দর্শকের অনেকেই হয়তো জানেন না—এ টুর্নামেন্টের শুরুটা কিন্তু বাংলাদেশে। তখন অবশ্য নাম ছিল ইন্টারন্যাশনাল কাপ, পরে আইসিসি নকআউট হয়ে এই টুর্নামেন্টের নামই হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ঢাকায় খেলা হলেও প্রথম আসরে বাংলাদেশ খেলেনি, কিন্তু আমরা সবাই মাঠে গিয়েছিলাম। পরে টুর্নামেন্টটা অনিয়মিত হয়ে যায়। প্রয়োজন আছে কি না, থাকলেও কতটুকু—এমন প্রশ্ন এখনো মাঝেমধ্যেই ওঠে।

আরও পড়ুনঢাকা থেকে ওভাল: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আটকাহন২০ ঘণ্টা আগে

তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেকোনো দলের জন্যই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলগুলোও টুর্নামেন্টটিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গেই নেয়। এর একটা বড় কারণ—চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সাল।

দ্বিতীয় আসর থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা শুরু করে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এমনিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ওঠানামা করে। খুব বেশি সাফল্যও নেই। ২০০৭ আর ২০১৫ বিশ্বকাপে  আমরা পরের ধাপে যেতে পেরেছি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো—সেমিফাইনালেও খেলেছে।

দুবাইয়ে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ