আজকাল বেশিরভাগ টিনএজের ছেলে-মেয়েদের ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ১৫ বা ১৬ বছর বয়সের পরে ব্রণের সমস্যা হয়। আজকাল অবশ্য ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেও এই সমস্যাটি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সীদের এই সমস্যা কমাতে খাদ্যতালিকা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু খাবার বাদ দেওয়া উচিত। অনেক সময় এইসব কারণে শিশুদের ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সমস্যাগুলি আরও বাড়তে পারে। যেমন-

চিপস এবং স্ন্যাকস
৮ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের কখনই প্যাকেটজাত চিপস এবং এরকম নোনতা ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। শিশু চিকিৎসকদের মতে, এই জিনিসগুলির অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই জিনিসগুলি ফোলাভাবও সৃষ্টি করে।

ব্রেড
ব্রেডে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণ হয়। এই কারণে, শরীরে তেল তৈরি হয়। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে ব্রণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এ জাতীয় খাবারের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। 

চকোলেট, কেক এবং কুকিজ
শিশুরা চকোলেট খেতে খুবই পছন্দ করে। যতটা সম্ভব তাদের চকলেট, কেক এবং কুকিজ খাওয়ানো বন্ধ করে দিন। এই খাবার খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন স্পাইকের কারণে ত্বকের প্রদাহের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি আপনার সন্তান মিষ্টি খেতে পছন্দ করে, তাহলে আপনি বাড়িতে কিছু স্বাস্থ্যকর তৈরি করে তাদের খাওয়াতে পারেন।

কোমল পানীয়
ছোটরা কোমল বা ঠান্ডা পানীয় খেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু এ ধরনের পানীয় নিয়মিত সেবন করলে তাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এই ধরনের পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন এবং চিনি থাকে, যার কারণে এটি আপনার শরীরের হরমোনগুলিকে ব্যাহত করে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি সই

কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তিতে সই হয়েছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।

বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। খবর আল জাজিরার

গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল গঠনের মাধ্যমে রাশিয়াকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পক্ষে। 

তিনি বলেন, এই অংশীদারত্বের ধারণাটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের—যা দুই দেশের জনগণের শান্তি ও অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি বহন করে।

ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ চুক্তি বিস্তারিত আলোচনার ফল এবং আমি দুপক্ষের মধ্যস্থতাকারী দলকে তাদের পেশাদারি ও নিষ্ঠার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’

চুক্তি সইয়ের কিছুক্ষণ আগে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মাইগাল সামাজিকমাধ্যম টেলিগ্রামে লিখেছেন, এ চুক্তির ফলে ইউক্রেন তার ‘ভূগর্ভস্থ সম্পদ, অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে’ এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রচেষ্টায় কোনো বাধা তৈরি করবে না।

চুক্তিটি কয়েক সপ্তাহ আগেই স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মার্চে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার জেরে এটি বিলম্বিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ