রাজস্ব বোর্ডের আইভাসে একদিনে ১৭২৩টি নতুন নিবন্ধন
Published: 20th, February 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আইভাসে একদিনে ১ হাজার ৭২৩টি নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন হয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদক শ্রেণীতে ৪৬টি, সেবাগ্রহীতা ৮৬২টি, খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা ৫০০টি, আমদানিকারক ২৯টি, রপ্তানিকারক ৯টি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৭৭টি ।
এটি বর্তমান সরকারের সময় নতুন রেকর্ড। এনবিআর’র বর্তমান চেয়ারম্যান প্রতিদিনের নিবন্ধন মনিটর করছেন। মাঠপর্যায়ের সকল ভ্যাট কমিশনার একযোগে নতুন করদাতা খুঁজে বের করে প্রতিযোগিতামূলক ভ্যাট দাতা শনাক্ত করছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.
বুধবার সারা দেশে একদিনে চট্টগ্রাম কমিশনারেট ৫৭৯ জন, ঢাকা (উত্তর) কমিশনারেট ১৮০ জন, ঢাকা (পশ্চিম) কমিশনারেট ২৬৬ জন, খুলনা কমিশনারেট ১৯৫ জন, রাজশাহী কমিশনারেট ৫০ জন, যশোর কমিশনারেট ৪৭ জন, রংপুর কমিশনারেট ৪১ জন, কুমিল্লা কমিশনারেট ২৭ জন, ঢাকা (দক্ষিণ) কমিশনারেট ৭১ জনসহ মোট ১৭২৩ জন ব্যবসায়ী নতুন নিবন্ধন গ্রহণ করেছে। ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি ও করজাল বিস্তৃতিতে দেশের ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা দৈনিক কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময়েও কাজ করছে।
রাজস্ব আদায়ে সরকারের নতুন নীতি ও দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নে পূর্ব থেকেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, কর আদায় সন্তোষজনক ও করজাল বিস্তৃতি সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে যুগপৎ কাজ করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানের নানামুখী ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। ভ্যাটের রাজস্ব ও আওতা বৃদ্ধির জন্যে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে বাস্তবায়ন অনুবিভাগের অধীন মাঠের কমিশনারদের বেশ কিছু নতুন নির্দেশনা প্রদান করেছে।
ইতোপূর্বে, ফেব্রুয়ারি মাসকে কমিশনারদের জন্য নিবন্ধনের মাস হিসেবে ঘোষণা দেয় এনবিআর। সে লক্ষ্যে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধির জন্য গতকাল সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম এবং জেনেক্সের প্রতিনিধি ও ভ্যাট বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত, সংযোগ, সমন্বয় রক্ষার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। একইভাবে তিনি মাঠ পর্যায়ের কমিশনারদেরও সম্পৃক্ত করেন। ফলে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, যে কোনো ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার অধিক হলেই তাকে ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ব যবস একদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।