ফল আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি আমদানিকারকদের
Published: 20th, February 2025 GMT
তাজা ফল আমদানিতে শুল্ক হার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে ফলের ব্যবসা করা এখন কঠিন হয়ে গেছে। প্রতি চালানে আমদানিকারকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
পুরান ঢাকার বাদামতলীতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে দিনে এক ট্রাক ফল বিক্রি হতো। এখন এক ট্রাক ফল বিক্রিতে ৩–৪ দিন সময় লাগছে। গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে দেশের বাজারে ফলের দাম বেড়েছে। সাধারণ ভোক্তাদের ওপর যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে অংশীজনদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান শুল্ক–কর কাঠামো ও ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের ফল আমদানির চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাজা ফল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। এর মধ্যে আপেল আমদানি কমেছে প্রায় ৫২ শতাংশ। একইভাবে মাল্টা ৭১ ও আঙুর আমদানি ২৯ শতাংশ কমেছে। উচ্চ শুল্কের কারণে একদিকে বৈধ পথে আমদানি কমছে অন্যদিকে অবৈধপথে আমদানি উৎসাহিত হতে পারে। তাতে ভোক্তা স্বার্থ শুধু ক্ষুণ্ন হবে না বরং ভবিষ্যতে আমদানি থেকে রাজস্ব আয়ও কমবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, দেশে ফল উৎপাদন হয় চাহিদার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। বাকি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের মাধ্যমে ব্যবসা করেন। বর্তমানে ব্যাংকের সুদহারও বেশি। পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দামও বাড়তি। এসব কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক ফল আমদানি হচ্ছে। এ অবস্থায় ফল আমদানি বাড়াতে শুল্ক–কর কমানোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, সদস্য নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স গঠনট র ফল আমদ ন ল আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রে সভাপতি হয়েছেন জাহিদ আহসান, সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীকে সভাপতি ও আল আমিন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাত ১০টায় এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) থেকে নাম বদলে জাতীয় ছাত্রশক্তি হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় সংগঠনটির চার সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলো। আর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি তিন সদস্যের।
জাতীয় ছাত্রশক্তির নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার—দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জাহিদ এর আগে বাগছাসের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আর বাকের সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চার সদস্যের আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন দুজন। সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম আর সাংগঠনিক সম্পাদক (দক্ষিণাঞ্চল) করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহির আলমকে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হবে।
ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারও বাগছাসের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাইফুল্লাহকে। তাঁদেরও সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
তাহমিদ আল মুদ্দাসসির