ডিপিএলে সাকিবের নাম, দেশে ফিরছেন টাইগার অলরাউন্ডার?
Published: 22nd, February 2025 GMT
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ওয়ানডে প্রতিযোগিতা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরু হচ্ছে ৩ মার্চ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আলোচনার কেন্দ্রে সাকিব আল হাসান। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দলবদলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে— তবে কি দেশে ফিরছেন এই তারকা অলরাউন্ডার?
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখনো দেশে ফেরেননি সাকিব। গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে চেয়েছিলেন এবং সেই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এরপর ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট খেললেও এরপর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে।
সাকিবের দেশে ফেরার অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু বিতর্ক। বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরেননি তিনি। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক মামলা হয়েছে, এমনকি জারি করা হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা থাকলেও বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হওয়ায় সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে বোলিং পরীক্ষায় দু’বার ব্যর্থ হওয়ায় তাকে শুধু ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে নির্বাচকরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তাকে রাখেননি।
এতসব ঘটনার পরও ডিপিএলের দলবদলে সাকিবের নাম লেখানো নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরে টুর্নামেন্টে অংশ নেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।