ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ দেখানো হচ্ছে কারাগারেও
Published: 23rd, February 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনা বা রোমাঞ্চ কতটা, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা বোঝাতে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সেটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ চলমান ম্যাচটি নিয়েই।
এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার রেণু ওড়ে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে ভেন্যু নিয়ে হয়ে যাওয়া নাটকের কারণে আজকের ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে গেছে অনেক। এমন উত্তেজনাময় একটি ম্যাচ উপভোগ করার অধিকার তাই কেড়ে নেওয়া হয়নি পাঞ্জাবের বিভিন্ন কারাগারে থাকা আসামিদেরও।
রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগারসহ পাঞ্জাবের মোট ৪৪টি কারাগারে থাকা আসামিদের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে আজকের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার। কারাগারে বসে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ম্যাচটি যেন আসামিরা নির্বিঘ্নে দেখতে পারেন, এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শককে (কারা) নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশটির স্বরাষ্ট্রসচিব নুরুল আমিন মেনগাল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।
হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।