বাংলাদেশকে নিয়ে যে ভয় স্যান্টনারের মনে
Published: 23rd, February 2025 GMT
তিন জাতি সিরিজ খেলার সুবাদে এ মাসের শুরু থেকেই পাকিস্তানে আছে নিউজিল্যান্ড দল। স্বাগতিক পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজটাও জিতেছে। এরপর করাচিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভালো শুরু হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যুগল আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এখানে থেকে পাকিস্তানের কন্ডিশনের সঙ্গে যেমন দারুণ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, যোগ হয়েছে স্বাগতিকদের হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে পাওয়া আত্মবিশ্বাসও।
তবে এর মধ্যেই আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে একটা ভয় মিচেল স্যান্টনারের মনে। তাঁর চোখে ‘ভালো দল’ বাংলাদেশ অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে যেকোনো বড় দলকে হারিয়েই। আজ রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বলেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলীর প্রসঙ্গ টেনেই বলেছেন, ‘গত ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলেছে হৃদয়। জাকের আলীও বেশ ভালো ইনিংস খেলেছে। কাজেই দলটাকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। এ রকম বড় আসরে তারা যেকোনো দলকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে। আশা করি, সেটা আমরা হব না।’
ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও বাংলাদেশ সম্পর্কে স্যান্টনারের মন্তব্য, ‘এই মুহূর্তে তারা খুব ভালো দল।’ অবশ্য কথাটা তিনি বলেছেন বাংলাদেশের পেস বোলারদের দিকে ইঙ্গিত করে, ‘স্পিন দিয়ে সব সময় তারা কাজ চালাত। কিন্তু এখন তাদের বেশ কয়েকজন ভালো দ্রুতগতির বোলার আছে। আমরা জানি, ফিজ (মোস্তাফিজ) কতটা ভালো করতে পারে। রানার মতো গতিময় বোলারও এসেছে দলে। দেশে ও দেশের বাইরে দলটার বিপক্ষে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। কাজেই আমরা তাদের ভালোই জানি, ওরাও আমাদের সম্পর্কে জানে।’
নিউজিল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক স্যান্টনার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স য ন টন র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?