কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস
Published: 23rd, February 2025 GMT
ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। আরো ভেঙে বললে, পাকিস্তানের শুরুর আদি স্টাইলের ব্যাটিংয়ে। যার ফলাফল এরকম, ৩০০ বলের ইনিংসে ১৪৭টি-ই ডট। পুঁজি নামমাত্র, ২৪১।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২৮ রান করে ব্যাটিং অনুশীলন বেশ ভালোভাবেই করে নিয়েছিল ভারত। তাই পাকিস্তানও পাত্তা পায়নি তাদের কাছে। ভারত জবাবটা কিভাবে দেয়, কার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি আসে সেটাই ছিল দেখার। নতুন ম্যাচ, নতুন ম্যাচ উইনার। এমন মন্ত্রে মাঠে নামা টিম ইন্ডিয়া পেল পুরোনো এক ম্যাচ উইনারকে, বিরাট কোহলি। যিনি সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন নিজের অসাধারণ প্রত্যাবর্তন। তাতে রঙিন হয়েছে ভারতের জয়ের ক্যানভাস।
রান পাচ্ছিলেন না বলে প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে সব শোধ নিলেন। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে সেঞ্চুরির পর তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার। সেই সেঞ্চুরি ছিল ইতিহাস গড়া। ভারতের ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯তম সেঞ্চুরি ছাপিয়ে সেঞ্চুরির ফিফটি করেছিলেন। লম্বা সময় পর কোহলি তালিকাটা একধাপ এগিয়ে নিলেন।
আরো পড়ুন:
দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি
কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে ভারত
ভারতের লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না। বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ২৪১ রানে। কোহলির হার না মানা ১০০ রানের ইনিংসে ৪৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
‘পাকিস্তান-ভারত’ ম্যাচ যতটা উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল, ২২ গজে তার কোনো রেশই ছিল না। শেষ দিকে কোহলির সেঞ্চুরি পাওয়া নিয়েই যা একটু রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। খুশদীল শাহ যখন ৪৩তম ওভার করতে আসেন তখন ভারত ৪ রান দূর ছিল। কোহলি ব্যাটিংয়ে ছিলেন ৯৫ রানে।
বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম বলে ১ রান নেন কোহলি। স্ট্রাইকে যান অক্ষর প্যাটেল। দ্বিতীয় বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে আবার কোহলি। ওয়ানডেতে তার ৫১তম সেঞ্চুরি পেতে লাগবে ৪ রান। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন কেবল ২। বাউন্ডারি ছাড়া বিকল্প নেই। ওই বলেই ফুরায় অপেক্ষা। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ওয়াইড লং দিয়ে বল সীমানা পাড় করিয়ে হেলমেট খুলে মুখে চওড়া হাসি কোহলির। জয়ের আনন্দের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে তার বার্তা, ‘‘ম্যা হু না।’’
সত্যিই কোহলি আছেন তো! তাকে বলা হয় চেজ মাস্টার। ওয়ানডেতে তার ৫১ সেঞ্চুরির ২৮টি এসেছে দ্বিতীয় ইনিংসে। যার ২৪টিতে আবার জয় ভারতের। অবিস্মরণীয় কিছু ইনিংস তো আছেই। যেমন ঢাকার মাটিতে ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ১৮৩ রানের ইনিংস এখনও তার ক্যারিয়ার সেরা।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক আলোচনার জন্য চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনার জন্য চীনের সাথে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউয়ুয়ান তান্তিয়ান তার অফিসিয়াল ওয়েইবো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, “শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা করার আশায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে চীনের সাথে যোগাযোগ করেছে।”
চলতি সপ্তাহে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেটসহ মার্কিন কর্মকর্তারাও বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতির আশা প্রকাশ করেছেন।
হ্যাসেট সিএনবিসিকে জানান, শুল্ক আরোপ নিয়ে “উভয় সরকারের মধ্যেই হালকা আলোচনা” হয়েছে। কিছু মার্কিন পণ্যের উপর চীনের শুল্ক কমানো অগ্রগতির লক্ষণ।
বেইজিং শুল্কের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ্যেই জানিয়েছে। তাদের মতে, এই শুল্ক হুমকির সমতুল্য। তবে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির উত্থান থামাতে পারে না।
শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করার জন্য তার প্রচারণা যন্ত্রকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি চীন নীরবে মার্কিন তৈরি পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করেছে। মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে তারা এসব পণ্যকে প্রতিশোধমূলক ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেবে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত ওষুধ, মাইক্রোচিপ এবং জেট ইঞ্জিন।
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সাথে সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট কোনো নির্দিষ্ট আলোচনার কথা উল্লেখ করেননি। তবে জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন পক্ষ থেকে ১৪৫ শতাংশ এবং চীনা পক্ষ থেকে ১২৫ শতাংশ উচ্চ শুল্ক আরোপের উত্তেজনা হ্রাস করা প্রয়োজন।
তিনি বলেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে চীনারা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাইবে। এবং যেমনটি আমি বলেছি, এটি একটি বহু-পদক্ষেপ প্রক্রিয়া হতে চলেছে। প্রথমে, আমাদের উত্তেজনা কমাতে হবে এবং তারপর সময়ের সাথে সাথে আমরা একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির উপর মনোযোগ দিতে শুরু করব।”
তিনি জানান, প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হবে ট্রাম্পের ২০২০ সালের ‘প্রথম ধাপ’ বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকান পণ্যের জন্য ক্রয় প্রতিশ্রুতি পূরণে চীনের ব্যর্থতার পুনর্বিবেচনা করা।
ঢাকা/শাহেদ