এওএবির সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, মহাসচিব মফিজুর রহমান
Published: 23rd, February 2025 GMT
বেসরকারি এভিয়েশন মালিকদের সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার স্যামসন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান।
সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন এওএবির সভাপতি ও স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড মাহমুদ মামুন, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এ এফ এম মহিবুল্লাহ, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এ এস এম মুস্তাফিজুল হক, স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বেক্সিমকো এভিয়েশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা গুলজার হোসেইনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ সময় অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের এভিয়েশন শিল্প কঠিন সময় পার করছে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, জেট ফুয়েলের দাম, কাস্টমস জটিলতা ও সিভিল এভিয়েশন নির্ধারিত উচ্চহারে বিভিন্ন ফি এবং সারচার্জ এ খাতের মালিকদের মহাসংকটে ফেলেছে।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা এভিয়েশন শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, যেমন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নির্বাচনোত্তর নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন সভাপতি স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের অঞ্জন চৌধুরী, মহাসচিব নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, সহসভাপতি-১ মেঘনা এভিয়েশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি-২ ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড মাহমুদ মামুন, যুগ্ম সচিব ব্লু ফ্লাইং একাডেমি লিমিটেডের আবদুল্লাহ আল জহির স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস লিমিটেডের রাকিবুল কবির, প্রকাশনা সম্পাদক স্কাই ক্যাপিটাল এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। কমিটির সদস্যরা হলেন সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এ এফ এম মহিবুল্লাহ, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফওয়ান সোবহান, বিআরবি এয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ রহমান এবং গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ জ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া জেনারেটর উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া একটি জেনারেটর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।
আরও পড়ুননিহতের বাবার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫এ নিয়ে দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুননুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, মসজিদের ইমামসহ চারজন গ্রেপ্তার০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। এই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও কবর থেকে লাশ তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত মিজানুরসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।