কত ঝড় বয়ে গেছে এতগুলো বছরে—বিরাট কোহলির গল্প তবুও বারবারই গিয়ে মেলে একই মোহনায়। সেঞ্চুরি করেন, ম্যাচ জেতান, রেকর্ডটাও গড়েন সব সময়ের মতোই। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আজ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়েছেন, ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানে দ্রুততম হিসেবে গড়েছেন রেকর্ডও।
তাঁর সেঞ্চুরির পর আনন্দ বয়ে গেছে পুরো ভারতীয় ড্রেসিংরুমেই। চার মেরে তাঁর তিন অঙ্কে পৌঁছানোর পর দলও জিতেছে। এত আনন্দের ভিড়ে বিরাট কোহলি স্বস্তি খুঁজছেন অন্য এক জায়গায়—আগামী এক সপ্তাহ যে তাঁদের কোনো ম্যাচ নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তিন দিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচ খেলা ফেলার পর ভারতের পরের ম্যাচটি ২ মার্চ।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফি: সেঞ্চুরি করেই ভারতকে জেতালেন কোহলি১১ ঘণ্টা আগে

কোহলি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নেওয়ার পর তাঁকে কথাটা মনে করিয়ে দেন ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ—এক সপ্তাহ ছুটি পেয়ে কেমন লাগছে? ‘সত্যি বলতে, ৩৬ বছর বয়স হয়ে গেলে ভালোই লাগে (হাসি)। আমি জানি না, যাদের ২৩–২৪ বছর তাদের কেমন লাগছে, আমার খুব ভালো লাগে। দুই দিন কিছুই করব না। কারণ, এখন অনেক কিছু করতে হয় মাঠে এ ধরনের পরিশ্রম করার জন্য।’
কোহলি যতই মাঠে পরিশ্রম করেন, তাঁর ব্যাট হাসছিল না অনেক দিন ধরেই। তাতে সমালোচনাও ধেয়ে আসছিল অবধারিতভাবেই। ওসব নিয়ে তাঁর ভাবনাটা কী? পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে তিনি বলছেন, ওদিকে নাকি তাকানই না!

ম্যাচ শেষ কোহলিদের অভিনন্দন পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ