রাওয়ালপিন্ডির গ্যালারিতে পাকিস্তানি দর্শকরা ‘‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’’ যে স্লোগান তুলেছিল তার বিশেষ কারণ ছিল। কিছু পাকিস্তানি দর্শক তো লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে শান্ত-জাকেরদের জন্য চিৎকারও করছিল। কিন্তু ২২ গজে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা তাদের সেই সমর্থনে সাড়া দিলেন কই!
এই ম্যাচটা পাখির চোখে পরখ করছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ কোনোভাবে যদি নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে তাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আশা টিকে থাকবে। শেষ ম্যাচে তাদের একটি বড় জয় এবং ভারত নিউ জিল্যান্ডকে হারালে স্বাগতিক দল শেষ চারে। অনেক ‘‘যদি-কিন্তুর’’ সমীকরণ। তবুও আশা তো করাই যায়।
তাই তো পাকিস্তানের ২৪৭.
আরো পড়ুন:
বাবরকে ‘জোচ্চর’ বললেন শোয়েব আখতার
ফারজানার ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি
ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ দুবাইতে তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে দল কেমন করে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু এই ম্যাচেও পারফরম্যান্সে দৈন্যতা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই সাধারণ মানের পারফরম্যান্স। কঠিনভাবে বললে গড়পড়তারও নিচে।
আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান করে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড ২৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পায়। স্বল্প পুঁজি তাড়া করতে নেমে রাচিন রবীন্দ্রর সেঞ্চুরিতে কিউইরা বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে। অবশ্য তাকে সেঞ্চুরি পেতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররাই। তাওহীদ হৃদয় তার সহজ রান আউট মিস করেছেন। মিরাজ পয়েন্টে ক্যাচ ছেড়েছেন। সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ তার লোপ্পা ক্যাচও মিস করেছেন। সেঞ্চুরির আগে দুই সুযোগ রাচিন কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। ১০৫ বলে ১১২ রান করেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কায়।
এছাড়া বাংলাদেশকে প্রায় সময়ই ভোগানো টম লাথাম আরেকটি ফিফটি, ৫৫ তুলেছেন। বোলিংয়ে ভালো বিষয় তাসকিন ও নাহিদ শুরুতে নতুন বলে উইল ইয়ং ও কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়েছেন। কনওয়েকে ৩০ রানে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৭২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রাচিন ও লাথামের ১৩৬ বলে ১২৯ রানের জুটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। দুজনের কেউই অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। গ্লেন ফিলিপস ও মাইকেল ব্রেসওয়েল দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের তরুণদের গানের দল ‘পেনোয়া’। ১৩টি গান নিয়ে প্রকাশ করেছে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম ‘এ রুহের তলে’। এ অ্যালবামটি শোনা যাচ্ছে ইউটিউব, স্পটিফাই প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। অ্যালবামের গানগুলো সরাসরি শোনাতে কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ঢাকায় হবে তিনটি কনসার্ট। যেখানে গানের সঙ্গে থাকবে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স, ব্যান্ডের সদস্যরা শোনাবে গানের গল্প।
আরও পড়ুনকক্সবাজারের ব্যান্ডটির গান কেন শুনছেন তরুণেরা০৭ ডিসেম্বর ২০২৪২০ নভেম্বর চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ‘অ্যালবাম কমপ্লিশন কনসার্ট’ শিরোনামের প্রথম আয়োজনটি হবে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। যেখানে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অ্যালবামের পেছনের অনেক গল্প জানতে পারবেন শ্রোতারা। দ্বিতীয় আয়োজনটি হবে ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে, আর শেষ কনসার্টটি হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি, সম্ভাব্য ভেন্যু ঢাকার রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার।
আয়োজনের পোস্টার