শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলা এলাকায় বারবার অগ্নিকাণ্ড, জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
Published: 25th, February 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসের টিলা এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ টিলায় কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝোপঝাড় পরিষ্কার কিংবা গাছের ডাল-কাঠ সংগ্রহ করতে এসে অগ্নিকাণ্ড ঘটান বলে আমরা জানতে পেরেছি। আগুন নেভাতে বারবার ফায়ার সার্ভিসকে ডাকায় তারাও অতিষ্ঠ। এ জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’
মোখলেসুর রহমান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দিনের বেলায় টিলাগুলোতে উন্মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবেন। তবে রাতে ওই সব এলাকায় চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ টিলায় একাধিকবার আগুন লেগে গাছপালার ক্ষতি, পরিবেশের বিপর্যয় এবং অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হলো।’
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রথম আলোতে ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বারবার টিলায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডে নতুন চারাগাছ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুনশাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড১১ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ ল ল ব
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারও দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে, এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই।
সোমবার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বরাদ্দ ৫০০ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছান পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর আশপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।