শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসের টিলা এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ টিলায় কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝোপঝাড় পরিষ্কার কিংবা গাছের ডাল-কাঠ সংগ্রহ করতে এসে অগ্নিকাণ্ড ঘটান বলে আমরা জানতে পেরেছি। আগুন নেভাতে বারবার ফায়ার সার্ভিসকে ডাকায় তারাও অতিষ্ঠ। এ জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

মোখলেসুর রহমান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দিনের বেলায় টিলাগুলোতে উন্মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবেন। তবে রাতে ওই সব এলাকায় চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ টিলায় একাধিকবার আগুন লেগে গাছপালার ক্ষতি, পরিবেশের বিপর্যয় এবং অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রথম আলোতে ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বারবার টিলায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডে নতুন চারাগাছ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

আরও পড়ুনশাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড১১ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হজ ল ল ব

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ