উল্টে গেল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করা বাস, আহত ২৫
Published: 25th, February 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী একটি বাস উল্টে গেছে। এতে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় বিত্তিপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কুষ্টিয়ার কাষ্টমস মোড় থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা সোহাইল নামের বাস। বাসটি বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে সামনে থাকা অন্য গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশের ধানক্ষেতে উল্টে পড়ে যায়। এতে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া ও ইবি মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক। চালকের অতিরিক্ত গতিতে বাস চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনার ঘটে বলে জানান বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, এই বাসটি সবসময়ই অতিরিক্ত গতিতে চালায়। তাদের বাস চালানোর গতি সুবিধাজনক নয়। আজকেও তেমন হয়েছে। অতিরিক্ত গতিতে বাস চালানোর কারণে ওভারটেক করতে গিয়ে ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত ব স দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’