শাবিপ্রবির টিলা এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
Published: 25th, February 2025 GMT
বারবার অগ্নিকাণ্ডসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসস্থ টিলা এলাকায় একাধিকবার আগুন লেগে যাওয়াসহ গাছপালার ক্ষতি, পরিবেশের বিপর্যয় এবং অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো.
“ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, আপনারা কয়দিন পরপর আমাদের আগুনের নিভানোর জন্য ডাকেন। এটা যদি আপনারা বন্ধ না করেন, তাহলে আমাদের জন্যও বারবার আসা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়,” যুক্ত করেন প্রক্টর।
শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “নোটিশে জনসাধারণ বলতে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়েছে, বিষয়টা এ রকম না। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের ৩২০ একরই উন্মুক্ত। তবে তাদের জন্য রাতে সেখানে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন সাবধানে চলাফেরা করে।”
সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় অগ্নিকাণ্ড ও তার কিছুদিন আগে মুজতবা আলী হল সংলগ্ন অস্ট্রেলিয়া টিলায় আগুন লাগে। এতে টিলার ফলদ, বনজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি