বারবার অগ্নিকাণ্ডসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসস্থ টিলা এলাকায় একাধিকবার আগুন লেগে যাওয়াসহ গাছপালার ক্ষতি, পরিবেশের বিপর্যয় এবং অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে টিলাগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো.

মোখলেসুর রহমান বলেন, “গাজীকালু ও অস্ট্রেলিয়া টিলায় সম্প্রতি অনেকবার আগুন লেগেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্থানীয়রা কাঠ সংগ্রহ করতে এসে অগ্নিকাণ্ড ঘটায় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।”

“ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, আপনারা কয়দিন পরপর আমাদের আগুনের নিভানোর জন্য ডাকেন। এটা যদি আপনারা বন্ধ না করেন, তাহলে আমাদের জন্যও বারবার আসা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়,” যুক্ত করেন প্রক্টর।

শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “নোটিশে জনসাধারণ বলতে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়েছে, বিষয়টা এ রকম না। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের ৩২০ একরই উন্মুক্ত। তবে তাদের জন্য রাতে সেখানে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন সাবধানে চলাফেরা করে।” 

সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় অগ্নিকাণ্ড ও তার কিছুদিন আগে মুজতবা আলী হল সংলগ্ন অস্ট্রেলিয়া টিলায় আগুন লাগে। এতে টিলার ফলদ, বনজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ