সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
Published: 25th, February 2025 GMT
রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের পরই জেলা প্রশাসন সেখানে পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও মঙ্গলবার বিকেলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। আগুনের ঘটনায় প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনের বীভৎসতা এখনও চারদিকে ছড়িয়ে আছে। কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কটেজ মালিক সমিতির নেতারা ধারণা করছেন, নাশকতা নয়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে লাগা এই আগুনে কটেজ, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, বসতঘরসহ ৯৭টি স্থাপনা পুড়ে যায়।
থাঙগা লুসাই বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, জানি না। তাঁর ওষুধের দোকানসহ তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রুপা চাকমা জানান, ছোট একটা দোকান দিয়েছিলেন। আগুনে দোকানে রাখা কলা, সবজিসহ সব পুড়ে গেছে। তিনি এখনও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি।
স্থানীয় কারবারি অনিল ত্রিপুরা জানান, তাঁর দুটি রিসোর্ট পুড়ে গিয়ে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন, সাজেক ইকো ভ্যালি রিসোর্টের একটি কক্ষ থেকে এ আগুন লাগে। তবে কক্ষটি বন্ধ ছিল।
সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়।
সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুধু ৩৪টি কটেজ রিসোর্ট পুড়েই ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণেই বড় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সহায়সম্বল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন দিশেহারা। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও লুসাই সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবার এখনও সরকারি সহায়তা পায়নি। তারা গির্জা, মন্দির ও স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।
  
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।
আরো পড়ুন:
মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
 
মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।
১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।
কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল