মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে এক রোহিঙ্গাসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বুধবার ভোরে সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশব্যাক করেছে বিএসএফ।

সীমান্ত পার হয়ে আসা বাংলাদেশিরা হলেন, পাবনা জেলার চাটমোহর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের জগতবন্ধু হালদারের ছেলে শিবাস হালদার (৫০) এবং হরিদাস হালদার (২৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিশপুর গ্রামের শাহলাল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নরেন্দ্রপুর থানার আব্দুর রউফের ছেলে আক্কাস আলী (২৮), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার সারেংপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শাহিন আলী (২৭), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের সাইদুর আলীর ছেলে কাজীব আলী (২৩), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিশপুর গ্রামের বদর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৭), পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের ইসাহাক সিপাইয়ের ছেলে আজিল সিপাই (৪৫), পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের বুতিডং জেলার থাং বাজার থানার মাঝিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ১৬ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৩ ব্লকের বাসিন্দা আবুল পয়াসের ছেলে রিয়াজ (২৪) আরো ছয় জনের নাম না জানতে পারাসহ ১৫ জন।

পার হয়ে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানা যায়, তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে বেশ কিছুদিন জেল খেটেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর কারাগারে জেল খাটার পর বুধবার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পার করে তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেয়।

রাতের আধাঁরে তারা মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার থেকে বাসযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়।

এ বিষয়ে বিজিবির মুজিবনগর ক্যাম্প কোনও বক্তব্য দিতে চায়নি।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ভোরে কয়েকজন বাংলাদেশিকে পুশব্যাক করার কথা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কার্যক্রম চলমান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প ইনব বগঞ জ জ ল র ম জ বনগর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা