Risingbd:
2025-06-16@02:28:57 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

Published: 26th, February 2025 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্টে তাদেরও নিজ দেশের বাইরে গিয়ে খেলতে হলো। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। আর সেই কারণে আইসিসি এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে হাইব্রিড মডেলে সাজিয়েছে। তাতে ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবং একই ভ্যানুতে। যেখানে অন্য দেশগুলোকে প্রতি ম্যাচেই ভিন্ন ভেন্যুতে খেলার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে এবং ভ্রমণ করছে।

ভারতের যে এই বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ মিলেছে, তা নিয়ে বেশ নীতিবাচক আলোচনা হচ্ছে চারদিকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন এবং মাইক আথারটন ভারতীয় দলের এক মাঠে খেলার সুবিধার জোড়াল সমালোচনা করেছেন। সোমবার স্কাই স্পোর্টসে এক আলোচনায় ইংল্যান্ডের এই দুই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করেন বিষয়টি।

নাসের হুসেইন বলেন, “এটা একটা সুবিধা। টুর্নামেন্টের সেরা দলটির জন্য এমন সুবিধা। আমি আগের দিন একটি টুইট দেখলাম, ‘পাকিস্তান স্বাগতিক, কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধাটা পাচ্ছে ভারত।’ এতেই সবকিছু বোঝা যায়।”

আরো পড়ুন:

কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস

দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি

নাসের ভারতীয় দলের মাঠ নির্বাচনের সুবিধা নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “তারা (ভারত) এক জায়গায় এবং এক হোটেলে। তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। তারা এক ড্রেসিং রুমে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে। সেই পিচের জন্যই তারা দল বেছে নিয়েছে। যখন তারা দল নির্বাচন করেছে, তখন তারা খুব বিচক্ষণতা দেখিয়েছে। তারা হয়তো জানত, দুবাইয়ে পিচ কেমন হতে যাচ্ছে। তারা তাদের সব স্পিনারকে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল যে, কেন বাড়তি একজন পেসার নেওয়া হচ্ছে না? কেন সব স্পিনার? কেন, এখন আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।”

“ভারত যখন একবার বলে, ‘আমরা পাকিস্তানে যাব না’, তখন আইসিসির কী করার থাকে? ভারত–পাকিস্তান ছাড়া আপনি এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে পারবেন না।”- আরও যোগ করেন নাসের।

পাকিস্তানে খেলছে লাহোর, করাচি, এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। যেখানে প্রতিটি ভেন্যুর কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় অন্য দলগুলোকে তাদের একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভ্রমণের ক্লান্তি আছে। একই সময় ভারতীয় দল শুধু দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দল সাজাতে পারছে, যা তাদের জন্য বড় সুবিধা।

ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনও মনে করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুবিধা পাচ্ছে ভারত। আথারটন বলেন, “দুবাইয়ে খেলায় ভারতের সুবিধা কী, শুধু দুবাইয়ে খেলা? আমার কাছে সুবিধাটা পরিমাপ করা কঠিন, তবে নিঃসন্দেহে এটা সুবিধা। তারা স্রেফ একটি ভেন্যুতে খেলছে। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, অন্যান্য অনেক দলের তা করতে হচ্ছে।”

অন্য দলের কাছে এ ধরনের সুবিধা না থাকলেও, ভারতের জন্য এটি এক ধরনের বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই সুবিধা তাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলমান আসরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য দ র জন য ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ