Risingbd:
2025-08-01@04:36:05 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

Published: 26th, February 2025 GMT

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্টে তাদেরও নিজ দেশের বাইরে গিয়ে খেলতে হলো। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। আর সেই কারণে আইসিসি এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে হাইব্রিড মডেলে সাজিয়েছে। তাতে ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এবং একই ভ্যানুতে। যেখানে অন্য দেশগুলোকে প্রতি ম্যাচেই ভিন্ন ভেন্যুতে খেলার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে এবং ভ্রমণ করছে।

ভারতের যে এই বিশেষ সুবিধা নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ মিলেছে, তা নিয়ে বেশ নীতিবাচক আলোচনা হচ্ছে চারদিকে। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন এবং মাইক আথারটন ভারতীয় দলের এক মাঠে খেলার সুবিধার জোড়াল সমালোচনা করেছেন। সোমবার স্কাই স্পোর্টসে এক আলোচনায় ইংল্যান্ডের এই দুই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করেন বিষয়টি।

নাসের হুসেইন বলেন, “এটা একটা সুবিধা। টুর্নামেন্টের সেরা দলটির জন্য এমন সুবিধা। আমি আগের দিন একটি টুইট দেখলাম, ‘পাকিস্তান স্বাগতিক, কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধাটা পাচ্ছে ভারত।’ এতেই সবকিছু বোঝা যায়।”

আরো পড়ুন:

কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস

দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি

নাসের ভারতীয় দলের মাঠ নির্বাচনের সুবিধা নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বলেন, “তারা (ভারত) এক জায়গায় এবং এক হোটেলে। তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। তারা এক ড্রেসিং রুমে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে। সেই পিচের জন্যই তারা দল বেছে নিয়েছে। যখন তারা দল নির্বাচন করেছে, তখন তারা খুব বিচক্ষণতা দেখিয়েছে। তারা হয়তো জানত, দুবাইয়ে পিচ কেমন হতে যাচ্ছে। তারা তাদের সব স্পিনারকে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় এটা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল যে, কেন বাড়তি একজন পেসার নেওয়া হচ্ছে না? কেন সব স্পিনার? কেন, এখন আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।”

“ভারত যখন একবার বলে, ‘আমরা পাকিস্তানে যাব না’, তখন আইসিসির কী করার থাকে? ভারত–পাকিস্তান ছাড়া আপনি এ ধরনের টুর্নামেন্ট করতে পারবেন না।”- আরও যোগ করেন নাসের।

পাকিস্তানে খেলছে লাহোর, করাচি, এবং রাওয়ালপিন্ডিতে। যেখানে প্রতিটি ভেন্যুর কন্ডিশন ভিন্ন হওয়ায় অন্য দলগুলোকে তাদের একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভ্রমণের ক্লান্তি আছে। একই সময় ভারতীয় দল শুধু দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দল সাজাতে পারছে, যা তাদের জন্য বড় সুবিধা।

ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনও মনে করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুবিধা পাচ্ছে ভারত। আথারটন বলেন, “দুবাইয়ে খেলায় ভারতের সুবিধা কী, শুধু দুবাইয়ে খেলা? আমার কাছে সুবিধাটা পরিমাপ করা কঠিন, তবে নিঃসন্দেহে এটা সুবিধা। তারা স্রেফ একটি ভেন্যুতে খেলছে। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, অন্যান্য অনেক দলের তা করতে হচ্ছে।”

অন্য দলের কাছে এ ধরনের সুবিধা না থাকলেও, ভারতের জন্য এটি এক ধরনের বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই সুবিধা তাদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চলমান আসরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য দ র জন য ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ