৪১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইবি, খোলা থাকবে হল
Published: 26th, February 2025 GMT
পবিত্র রমজান, দোলযাত্রা, মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস এবং ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে আগামী শনিবার (১ মার্চ) থেকে ৩৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মোট ৪১ দিনের ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ছুটি চলাকালীন সময়ে ক্লাস বন্ধ থাকলেও কোন বিভাগ চাইলে অফিস খোলার দিনগুলোতে পরীক্ষা নিতে পারবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পবিত্র মাহে রমজান, শুভ দোলযাত্রা, মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শব-ই-ক্বদর এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ হতে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে বন্ধ চলাকালে চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ, আইসিটি সেল, নিরাপত্তা ও এস্টেট- এ জরুরি সেবাগুলো চালু থাকবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ছুটি চলাকালে পরীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবহন অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ছুটি শেষে আগামী ৮ এপ্রিল অফিস খোলার দিন সব বিভাগ, অফিস প্রধানকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির প্রতিবেদন বেলা ১২টার মধ্যে রেজিস্ট্রারের অফিসে প্রেরণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক আটটি হল খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।