কুয়েটের হলে পানি-ওয়াইফাই বন্ধের অভিযোগ
Published: 26th, February 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক হল ভ্যাকেন্টের সময়সীমা পার হওয়ার পরও ছয়টি ছাত্র হলে এখনও কিছু শিক্ষার্থী রয়ে গেছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক হল গুলোর ওয়াইফাই লাইন ও পানি সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণার পর বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কুয়েট-১৯ নামে ফেসবুক পেজেও এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পানি ও ওয়াইফাই লাইন বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। আর যেহেতু আমরা ভিসিকে অবঞ্চিত ঘোষণা করেছি সেহেতু উনার আন্ডারে সিন্ডিকেটের যে সিদ্ধান্ত আসবে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিচ্ছি না। উনি আমাদের তিন ঘণ্টা যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। যেটা আপনারা দেখেছেন, দেশবাসী দেখেছে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, “হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণার পরও যেসকল শিক্ষার্থী রয়ে গেছে প্রোভোস্ট ও শিক্ষকরা চেষ্টা করছে, ওদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, ওদেরকেও বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বল প্রয়োগ করে নয়, বুঝিয়ে যেন ওদেরকে হল থেকে বের করা যায়। তবে, স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই হল ভ্যাকেন্ট করা হয়েছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল ভ য ক ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।