ফজলুল কাদেরের নামে হল চায় না ছাত্র ইউনিয়ন
Published: 27th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রদের জন্য নির্মিতব্য আবাসিক হল মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মী। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। হলটির নাম পরিবর্তন করে বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের নামে করার দাবিও উঠেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তাঁর ছেলে রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধানতম দালাল হয়ে কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রামে শান্তি কমিটি, রাজাকার বাহিনী, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠনে তিনি ভূমিকা পালন করেন। হলটি বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামের নামে করার দাবি জানান নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন কৃষ্ণ সাহা, শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভ দেবনাথ প্রমুখ। এই হলের নাম পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে নেতারা গতকাল প্রশাসনকে এক মাসের সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন।
এর আগে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রদের নামে নতুন হল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পুরোনো শামসুন নাহার হলের জায়গায় এ হলের নাম ‘ফজলুল কাদের চৌধুরী হল’ রাখা হয়। সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের পাঁচজনের নামে থাকা চবির পাঁচটি স্থাপনাসহ মোট ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি সভায় আরও ছয়টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফজল ল ক দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব