আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের খেলা শুরু হচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। রীতি অনুযায়ী এই ম্যাচ ঘিরে নানান উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল। তবে আসর থেকে এই দুই দলেরই বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে সবার আগে। তাই তো এই ম্যাচে যেই জিতুক সেমি ফাইনালে উঠতে পারবে না কেউই। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচটা তাই কেবলই নিয়ম রক্ষার।

আসরে খেলে ফেলা প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ আবারও প্রামণ পেয়েছে যে, তাদের ব্যাটিং আধুনিক ক্রিকেটের মান থেকে বহু দূরে। ভারতের বিপক্ষে ১৫৯টি ডট খেলার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং স্বররগে ১৮১টি ডট খেলেছে টাইগাররা। ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া সব দলের চেয়ে পিছিয়ে!

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট সংস্কৃতিটা এমন যে কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মূল সমস্যার দিকে যেতে না পারলেই বাঁচে বোর্ড, টিম ম্যানেজম্যান্ট, গণমাধ্যম এবং দর্শক। এবার সেই দোষটা গিয়ে পড়েছে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উপর।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ

মুলতানে পাকিস্তানের বড় লিডের দিনে ফিরে এল বাংলাদেশ 

শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ভবিষ্যতের কথা (২০২৭ বিশ্বকাপ) মাথায় রেখে এখনই দল থেকে ছাটাইএয় দাবি উঠেছে গণমাধ্যম এবং দর্শকদের দিক থেকে। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশের বাইরে রাখার জোর দাবি করেছে অনেকে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের জানালেন, “যেহেতু টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছি, কাউকে সুযোগ দেওয়ার মতো আসলে অবস্থা নেই। এখানে সেরা ১১ জন নিয়েই মাঠে নামা উচিত।”

সালাউদ্দিনের কথায় স্পষ্ট যে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক এবং রিয়াদ একাদশে থাকবেন। গুঞ্জন আছে যে এটাই এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের শেষ ম্যাচ হতে পারে। তবে সালাউদ্দীন জানালেন এই দুই ক্রিকেটার এখনও খোলাসা করে কিছুই জানাননি, “গুঞ্জন আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আপনারাই ফলটা দিয়ে দিয়েন। আমরা তো কোনো কিছু শুনিনি।”

অন্যদিকে কাছাকাছি অবস্থা বিরাজ করছে প্রতিপক্ষ শিবির পাকিস্তানেও। তাদেরও ব্যাটিং দেখলেও মনে হয়, সেই নব্বই দশকেই পড়ে আছে। ফিল্ডিংয়েরও সেই একই অবস্থা, হাতে এসে পড়া বল তালুবন্ধি করতে ব্যর্থ। মাঝের দিকে কিংবা শেষের দিকে বোলাররা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আসরের সবচেয়ে বাজে দুই দলেরই লড়াই দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব।

এই ম্যাচের আগে এই দুদল মুখোমুখি হয়েছিল ৩৯ বার। সেখানে পাকস্তানের ৩৪ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশর জয় ৫টিতে। তবে আজকের ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর দলই এগিয়ে। আইসিসির বৈশ্বিক আসরগুলোতে বহুদিন ধরেই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ যে টাইগারদের জন্য নিয়ম রাক্ষারই হয়ে আসছে। সেই তুলনায় পাকিস্তান খানিকটা পিছিয়েই থাকবে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই ম য চ এই দ ই

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ