সেন্ট্রাল ফার্মার ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে নিরীক্ষকের শঙ্কা
Published: 27th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। এ কোম্পানির ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পুঞ্জীভূত লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকায়। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নতুন অর্থের সংস্থানে ব্যর্থ এবং তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না।
এছাড়া সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। এ কোম্পানির পণ্য বিক্রি বাড়ছে না। বিক্রি মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। উৎপাদন লাইনে সীমাবদ্ধতা আছে। কোম্পানিটির ড্রাগ সনদ নবায়ন করা হয়নি। এসব সমস্যার কারণে এ কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকে রাখার সক্ষমতা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণির (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৯২.
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা