পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক ৭ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে এক নারীসহ সাত বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকের সংবাদ পাওয়ার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে রাতেই পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কাশিমগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।

সাত বাংলাদেশি হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের পাঠান সিং বর্মণের ছেলে হরেন বর্মণ (৪০), তার স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), ছেলে অজয় কুমার বর্মণ (২১), নব বর্মণ (১৭), একই উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কুলেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে রিপন বর্মণ (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার আন্বেশ্বর রায়ের ছেলে শুশান্ত রায় (২২) এবং গড়েয়া এলাকার ইয়ধিশথির রায়ের ছেলে আশিশ রায় (১৮)।

ঢাকা/নাঈম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক