তেঁতুলিয়া সীমান্তে আটক ৭ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
Published: 27th, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক ৭ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ সীমান্তের ৭৩০ নম্বর মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে এক নারীসহ সাত বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকের সংবাদ পাওয়ার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে রাতেই পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কাশিমগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।
সাত বাংলাদেশি হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের পাঠান সিং বর্মণের ছেলে হরেন বর্মণ (৪০), তার স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), ছেলে অজয় কুমার বর্মণ (২১), নব বর্মণ (১৭), একই উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কুলেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে রিপন বর্মণ (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার আন্বেশ্বর রায়ের ছেলে শুশান্ত রায় (২২) এবং গড়েয়া এলাকার ইয়ধিশথির রায়ের ছেলে আশিশ রায় (১৮)।
ঢাকা/নাঈম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।