বাংলাদেশ থেকে এক হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চীনে। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এ সময় তিনি প্রাথমিকভাবে এক হাজার মেট্রিকটন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া এদেশ থেকে আম, কাঠাল ও পেয়ারা আমদানি এবং বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চট্রগ্রামের ইকোনমিক জোনে ৩০টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু রাষ্ট্র। বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরেও শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে কৃষি, ট্রান্সপোর্টেশন, এগ্রোমেশিনারিজ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। 

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক। বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়াতে এবং আমদানি পণ্যের সব ধরনের ট্যারিফ কমানোর আহবান জানান তিনি।

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এ দেশে ট্রাক তৈরির কারখানা স্থাপন ও কৃষির আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ দু’দেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়

দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।  

বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।” 

আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা

রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”  

রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ