এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে আইসিসিবির নেতাদের বৈঠক
Published: 27th, February 2025 GMT
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং আইসিসি বাংলাদেশের (আইসিসিবি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে আইসিসি বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকার গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশের কার্যালয়ে সম্প্রতি এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ংকে স্বাগত জানান আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ, সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, নির্বাহী বোর্ডের সদস্য-সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ইভিন্স গ্রুপের এমডি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, প্লামি ফ্যাশনসের এমডি মো.
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, আইসিসি বাংলাদেশের মহাসচিব আতাউর রহমান, এডিবির সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার বিদ্যুৎ কুমার সাহা প্রমুখ।
সভায় আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, এডিবি বহু বছর ধরে আইসিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। ২০০০ সালে এডিবির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তাদাও চিনো ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আইসিসি এশিয়া কনফারেন্স অন ইনভেস্টমেন্ট ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ’-এ অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সাল থেকে এডিবি ও আইসিসি বাংলাদেশ যৌথভাবে ট্রেড ও সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কর্মশালা ও সম্মেলন আয়োজন করে আসছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিবির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশন, আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি ও টেকসই ব্যবসায়িক চর্চার ক্ষেত্রে আইসিসি বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।
সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।
সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।