কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুরে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের স্মরণে নির্মিত ‘সিনহা স্মৃতিফলক’ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিওনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই স্মৃতিফলক উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেনাপ্রধান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ আইন অনুযায়ী দ্রুতবিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন তিনি।

কক্সবাজারের ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, প্রয়াত মেজর সিনহার মা ও বোন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাবের সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.

) সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি ২০০৩ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৫১তম বিএমএ লং কোর্সে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালের ২২ ডিসেম্বর কমিশন লাভ করেন। চাকরিজীবনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আইভোরি কোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।’

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ