বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার সকালে তাঁর নেতৃত্বে উপজেলার বালুখালীর ১২ নম্বর ক্যাম্পে পৌঁছায় প্রতিনিধি দলের গাড়িবহর।

সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রেজিস্ট্রেশন সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। পরে তিনি ৮ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিদর্শন টাওয়ার থেকে ক্যাম্প এলাকা পর্যবেক্ষণ শেষে ১ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান।

এই সফরে কমিউনিটিভিত্তিক সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও শান্তি বিষয়ে ইমাম এবং রোহিঙ্গা অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি ৪ এক্সটেনশন ও ১ ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। 

রিজিওনাল ব্যুরো অব এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের পরিচালক হ্যাই ক্যুন জুন; শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, ক্যাম্প প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে দুপুরে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিকেল ৪টায় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাতে বিমানে ঢাকায় ফিরে যান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

চার দিনের সফরে গত বুধবার বাংলাদেশে আসেন জাতিসংঘের ১১তম শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শরণ র থ ব ষয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ