কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে হুমকির মুখে ফেলতে চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ যেন নতুন এআই মডেল আনার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের সাফল্যের পর এবার দেশটির সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবাও ‘ওয়ান ২.১’ নামের নতুন এআই মডেল উন্মুক্ত করেছে। বার্তা থেকে ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম এআই মডেলটি গবেষণা, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক কাজে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে।

আলিবাবা জানিয়েছে, ‘ওয়ান ২.

১’ এআই মডেলটি ওপেন সোর্স হওয়ার ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকেরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারবেন। চারটি সংস্করণে বাজারে আসা এআই মডেলটি বার্তা বা ছবি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ছবি ও ভিডিও তৈরির পাশাপাশি তথ্যও বিশ্লেষণ করতে পারে। মডেলগুলো আলিবাবা ক্লাউডের ‘মডেলস্কোপ’ এবং এআই কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হাগিংফেস’–এ পাওয়া যাবে।

আলিবাবার দাবি, এআই মডেলটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। আগামী তিন বছরে ক্লাউড কম্পিউটিং এবং এআই অবকাঠামো শক্তিশালী করতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে আলিবাবা।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে ‘ওয়ান ২.১’ এআই মডেলটি প্রদর্শন করা হলেও সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ব ব

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ