ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আল-আমীন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে। 

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। শুনেছি, এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ নিয়ে যায়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। আজ এই বিষয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।”

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে একজনকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ৩

মেজর সিনহা স্মরণে স্মৃতিফলক উন্মোচন

নিহত আল-আমীন উপজেলার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। ওই ঘটনায় আহত আল-আমীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।

কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.

বিল্লাল হোসেন বলেন, “সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তারা কী কারণে গুলি করেছে সেটা বলা যাচ্ছে না। মরদেহ বর্তমানে বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা