যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল টেলিটা ক্রসল্যান্ডকে গতকাল শুক্রবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। টেলিটা মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ক্রসল্যান্ডকে অবসরে পাঠানো হলো।

ক্রসল্যান্ডের অবসরে যাওয়ার কথাটি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হলেও তাঁকে যে ৩২ বছরের কর্মজীবন থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, সে ব্যাপারে রয়টার্সই প্রথম খবর প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিরক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব স্টিফেন ফেরারা বলেছেন, ক্রসল্যান্ডের অবসরকাল শুরু হয়েছে।

ফেরারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রসল্যান্ড ৩২ বছর ধরে জাতির প্রতি, সামরিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি এবং সেনাবাহিনীর ওষুধ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

তবে সাবেক ও বর্তমান দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ক্রসল্যান্ডকে বলা হয়েছিল তাঁকে অবশ্যই অবসর নিতে হবে। কেন তা বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁকে জানানো হয়নি।

ক্রসল্যান্ড কেন অবসরে গেলেন, সে ব্যাপারে বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন। তারা রয়টার্সকে এ ব্যাপারে সামরিক স্বাস্থ্য সংস্থা ডিফেন্স হোমল্যান্ড এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। রয়টার্স ওই সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।

পিট হেগসেথ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ামাত্রই পেন্টাগনের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগগুলোকে বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর দাবি, এসব উদ্যোগ বৈষম্যমূলক ছিল।

এ ছাড়া হেগসেথ ব্ল্যাক হিস্ট্রি মান্থ এবং উম্যানস হিস্ট্রি মান্থের মতো আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতিমূলক মাসগুলোর উদ্‌যাপন বন্ধ করে দিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রয়ট র স

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে

হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?

মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।

আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।

অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সরকারও আমলাতন্ত্রের চাপে!
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে