নতুন দুটি স্মার্টফোন মডেল এস২৫ আলট্রা ও এস২৫ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড আইটেল।
নির্মাতারা জানান, ৬.৭৮ ইঞ্চির সুপার ব্রাইট থ্রিডি-কার্ভড অ্যামোলেড স্ক্রিন পাওয়া যাবে এস২৫ আলট্রা মডেলে। ১২০ হার্টজ হাই রিফ্রেশ রেটের কারণে স্ক্রল বা সোয়াইপ হবে স্মুথ। প্রতিদিনের ধকল থেকে ফোনের সুরক্ষায় স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে কর্নিং গরিলা গ্লাস সেভেনআই প্রটেকশন।
ইন্টিগ্রেটেড মেটাল ইনার ফ্রেমে ৬.
অতিরিক্ত সুরক্ষায় রয়েছে ১০০ দিনের স্ক্রিন প্রটেকশন পরিষেবা। আইপি-৬৪ ফিচার ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ফিচার। ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক সুবিধা থাকায় ফোন অন করার ক্ষেত্রে সাইড-মাউন্টেড বাটন খোঁজার ঝামেলা থাকবে না। সহজেই ফোন আনলক করা যাবে। টাইগার ৬২০ অক্টাকোর প্রসেসর, যা মাল্টিটাস্কিং বা ভারী গ্রাফিক্স ল্যাগ ছাড়াই নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স দেবে।
২৫৬ জিবির ইন্টারনাল স্টোরেজ ও ১৬ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম (৮ জিবি + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেবল র্যাম) থাকায় স্টোরেজ। রয়েছে ম্যাক্রো লেন্সের সঙ্গে যুক্ত ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৩২ মেগাপিক্সেলের এআই সেলফি ক্যামেরা।
আরজিবি লাইট নোটিফিকেশন ফিচারের মাধ্যমে ফোনের স্ক্রিনে না তাকিয়ে সহজেই নতুন নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানা যাবে। কারণ যে কোনো নোটিফিকেশন আসামাত্রই ভিন্ন রঙের মাধ্যমে নোটিফিকেশন বিষয়ে জানা যাবে। আইআর রিমোট কন্ট্রোল সুবিধায় ফোনের মাধ্যমে দূর থেকে ঘরের অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেবে।
অন্যদিকে, এস২৫ মডেলে রয়েছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, অ্যামোলেড
স্ক্রিনের ৬.৭৮ ইঞ্চি ডিসেপ্ল ও টাইপ-সি ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জার সুবিধা। ১২ জিবি র্যাম (৬ জিবি + ৬ জিবি এক্সটেন্ডেবল র্যাম) সুবিধা। স্টোরেজ ১২৮ জিবি। রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা। ৩২ মেগাপিক্সেলের এআই সেলফি ক্যামেরা। বাজেটবান্ধব হওয়ায়
মডেল দুটি গ্রাহক প্রত্যাশা পূরণে করবে বলে নির্মাতারা জানান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হোক
রাজধানী শহরসহ দেশের বড় শহরগুলোয় শব্দদূষণের অসহনীয় মাত্রার বিষয়টি কারও অজানা নয়। এটি এখন শুধু শব্দদূষণ নয়, শব্দসন্ত্রাস বলেও অভিহিত হচ্ছে। অতীতে ও বর্তমানে সরকারগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর হচ্ছে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শহরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নীরব এলাকা ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবশ্যই সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর হবে, নাকি এটিও অতীতের মতো কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তার ফল তেমন একটা ভালো পাওয়া
যায়নি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোষণার পর কিছু এলাকায় শব্দ কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং এর কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
শব্দদূষণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলতেই হয়। যার কারণে সাউন্ডবক্স বা মাইক বাজানোর বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে গাড়ির হর্ন এতটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা অকল্পনীয়। এটিই এখন রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত শব্দ হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটিতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মানুষ অনিদ্রায় ভোগে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই শুধু অভিজাত এলাকা নয়, পুরো শহরে ধাপে ধাপে কীভাবে নীরব এলাকা ঘোষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।
তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তা যদি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, এ ঘোষণা কখনোই সফল হবে না। কেবল প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে নীরব এলাকা–ঘোষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানে গণসচেতনতার কাজে যুক্ত করতে হবে।
গাড়ির হর্ন বাজানো সীমিত করতে পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের সমিতি–সংগঠনগুলোর যুক্ততাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির চালকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের জন্য শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকটি নিয়মিতভাবে তাঁদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নসহ উচ্চমাত্রার যেকোনো হর্ন উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।