দ্বিতীয় হিজরিতে পবিত্র কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ উম্মতের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, মধ্য দশক মাগফিরাতের আর শেষ দশক নাজাতের।’ প্রথম দশকে আল্লাহ বান্দার প্রতি রহমত নাজিল করেন। রমজান মাসের রহমতের দশকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কপটতা না করে, মানুষের দোষত্রুটি অন্বেষণ না করে, রহমত-বরকত-মাগফিরাতের মাসে বেশি নেক আমল করতে হবে।
রহমতের মাস রমজানজুড়ে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নেক কাজে নিয়োজিত থাকা অনেক সহজ। তাই রমজানের রহমতের দশকে আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে রোজাদারের করণীয় হলো: ১.
রমজানে রহমত বা অনুগ্রহ পাওয়ার ঘোষণা রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার নিয়তে রমজান মাসে রোজা রাখবে, তার বিগত জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনঅবাধ্যতার শাস্তি১৩ মার্চ ২০২৪রোজাদার যেন একাগ্রচিত্তে মহান আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন, সে জন্য রমজানের প্রথম রাতেই অর্থাৎ প্রথম দশকে শয়তানকে বন্দী করা হয়। রহমতস্বরূপ রোজাদারেরা শুরু থেকে কোনো রোজা তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য মনে হয় না। হজরত আবু হুরায়রা (রা.)–এর বর্ণনায় আছে যে রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজানের প্রথম রাতে শয়তান ও অবাধ্য জিনগুলোকে বন্দী করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয়। কোনো দরজা খোলা রাখা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। কোনো দরজা বন্ধ রাখা হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৬৮২)।
জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়ার অর্থ হলো নেক আমল করা সহজ হয়ে যাওয়া। আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার অর্থই হলো বদ আমলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। আর শয়তানকে শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলার অর্থই হলো রমজানের আগে তারা স্বাধীনভাবে যথেচ্ছ বিচরণ করেছে এবং বান্দাকে কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা দিয়ে যে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; রমজানের প্রথম রাতেই তাদের বন্দী করা হয়, যেন রোজাদারকে ধোঁকা ও প্রতারণা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে না পারে।
আরও পড়ুনরমজানে ছয়টি অভ্যাস১৪ মার্চ ২০২৪রহমতের ১০ দিনে করণীয়রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমতের বা দয়ার। সুতরাং এই ১০ দিন করণীয় হলো আল্লাহর দয়ামায়াসংক্রান্ত নামগুলো জেনে মুখস্থ করা। নামের বৈশিষ্ট্য জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহর দয়া, করুণা ও রহমতসুলভ নামগুলো হলো:
আর রাহমানু (অসীম দয়ালু), আর রাহিমু (পরম করুণাময়), আল ওয়াদুদু (প্রেমময়), আর রউফু (স্নেহশীল), আল আজিজু (মমতাময়), আল কারিমু (অনুগ্রহকারী), আস সালামু (শান্তিদাতা), আল মুমিনু (নিরাপত্তাদাতা), আল মুহাইমিনু (রক্ষাকর্তা), আল বাসিতু (করুণা বিস্তারকারী), আল মুইজজু (সম্মানদাতা), আল লাতিফু (করুণাকারী), আল মুজিবু (প্রার্থনা কবুলকারী), আর রাজ্জাকু (রিজিক দানকারী), আল ওয়াসিউ (দয়া প্রসারকারী), আল ওয়ালিয়্যু (পরম বন্ধু), আন নাফিউ (কল্যাণকারী), আল হাদিউ (পথের দিশারি), আন নাসিরু (সাহায্যকারী), আল হান্নানু (করুণাশীল), আল মান্নানু (দয়ার্দ্র) ইত্যাদি।
রমজানের প্রথম ১০ দিনে বা রহমতের ১০ দিনে করণীয় হবে ওই সব গুণ অর্জন করা এবং আচরণে ও ব্যবহারে এর প্রকাশ ঘটানো।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি জগদ্বাসীর প্রতি দয়া করো, তবে আল্লাহও তোমার প্রতি দয়া করবেন।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
আরও পড়ুনরোজার প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন১২ মার্চ ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন র প রথম র দরজ গ ল রহমত র ১০ দ ন আল ল হ করণ য়
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসুতে হল সংসদ নির্বাচনে ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ৩৯ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে মেয়েদের ৬টি হলে ৩৬ জন এবং ছেলেদের ১টি হলে ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া, মেয়েদের ৪টি হলে ১টি করে পদে কেউ মনোনয়ন উত্তোলন না করায় পদগুলো ফাঁকা থাকছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. সেতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
রাকসু: ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দাবি ছাত্রদলসহ ২ প্যানেলের
রাকসু নির্বাচন: শেষ দিনে ছাত্রদল নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে বিজয়-২৪ হলে ৩ জন, মন্নুজান হলে ১ জন, রোকেয়া হলে ৬ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ৩ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১০ জন, রহমতুন্নেসা হলে ৯ জন এবং জুলাই-৩৬ হলে ৭ জন রয়েছেন।
এছাড়া, বেগম খালেদা জিয়া হলে সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে একজন এবং রোকেয়া, জুলাই-৩৬ ও রহমতুন্নেসা হলে নির্বাহী সদস্য পদে ১টি করে ৩টিসহ মোট ৪টি পদে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। ফলে, পদগুলো ফাঁকা থাকবে।
পদ ফাঁকা থাকার বিষয়ে রাকসু, হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মো. সেতাউর রহমান বলেন, “যে পদগুলো ফাঁকা আছে, সেগুলো ছাড়াই হল সংসদ চলবে। অন্য কোনোভাবে সেগুলো পূরণ করার উপায় নেই।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৪৮ জন, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫৮ জন ও ১৭টি আবাসিক হলে ৫৯৭ জন রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি ভিপি পদে ১৮ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৩ জন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া, ১৭টি আবাসিক হলে ভিপি পদে ৬১, জিএস পদে ৫৮ জন ও এজিএস পদে ৫৭ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে মেয়েদের ৬টি আবাসিক হলে ভিপি পদে ১৬ জন, জিএস পদেও ১৬ জন ও এজিএস পদে ১৫ জন লড়ছেন।
ঢাকা/ফাহিম/ইভা