সাত মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোতে শীর্ষে যে ১০ দেশ
Published: 4th, March 2025 GMT
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই সাত মাসে যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে, সেসবের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যেসব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০ দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার এবং সিঙ্গাপুর।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১১ লাখ ডলার। তা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার বা ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১৪৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার, সৌদি আরব থেকে এসেছে ১৯৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে ২২৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ১৪১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, কুয়েত থেকে এসেছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার, ইতালি থেকে এসেছে ৯১ কোটি ১০ লাখ ডলার, ওমান থেকে এসেছে ৮২ কোটি ২৬ লাখ ডলার, কাতার থেকে এসেছে ৬৩ কোটি ৮ লাখ ডলার এবং সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৫২ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকা বিভাগে। এর পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। চট্টগ্রাম বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ শতাংশ। রেমিট্যান্স আসার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে সিলেট। সিলেট বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ শতাংশ।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা