সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সঠিক নীতির চর্চা শুরু হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কোনো প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে ব্যাংকিং খাত পুনরুদ্ধার বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে চাইলেই যে কেউ বসতে পারবেন না। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। ব্যাংক খাতের সম্পদ উদ্ধারে টাস্কফোর্স কাজ করছে। যে উদ্যোগই নেয়া হোক না কেনো তা বাস্তবায়নে কয়েক বছর সময় লাগবে।

ব্যাংক গুলোকে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কারসাজি করা যাবে না। তাতে যদি কোনো ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়ে পড়ুক। সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে।

এজেন্ট ব্যাংকিকে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান গভর্নর বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিকে ৫০ শতাংশ এজেন্টকে অবশ্যই নারী হতে হবে। শিগগিরই এমন আদেশ জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক অন্তর্ভুক্তী নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসময় তিনি আরও বলেন, এনআইডি জাতীয় সম্পদ। এটি নির্বাচন কমিশনের একক নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেনা। এছাড়াও ডিসেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান গভর্নর।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ, আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস

চলতি বছরের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ (শুল্ক) বৃদ্ধির ঝুঁকি ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার ৩ শতাংশ হবে, যা গত এপ্রিলের পূর্বাভাসে ২ দশমিক ৮ শতাংশ বলা হয়েছিল। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে শূন্য দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়তে পারে। এ ছাড়া ২০২৬ সালের জন্য ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে আইএমএফ জানিয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার এখনো করোনাপূর্ব গড় প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৭ শতাংশের নিচে রয়ে গেছে। খবর রয়টার্সের

আইএমএফ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর গড় শুল্কহার বর্তমানে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এপ্রিল মাসে ছিল ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে এই হার এখনো বছরের শুরুতে প্রাক্কলিত ২ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের-অলিভিয়ে গৌরিনশাস বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি এখনো অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। পাল্টা শুল্কহার বহাল থাকলে সেটি কমার সম্ভাবনা নেই।’

এদিকে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালে কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে শুল্কের প্রভাব সরাসরি ভোক্তাদের ওপর পড়তে পারে। ফলে দেশটির মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে।

আইএমএফ বলছে, ওষুধ, কাঠ ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপরও শিগগিরই উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এসব নতুন শুল্ক পরিকল্পনা তাদের পূর্বাভাসে ধরা হয়নি। বাস্তবে তা কার্যকর হলে, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ, আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস