সঠিক নীতির চর্চা শুরু হলে আইএমএফ’র ঋণের প্রয়োজন হবে না: গভর্নর
Published: 4th, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সঠিক নীতির চর্চা শুরু হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কোনো প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে ব্যাংকিং খাত পুনরুদ্ধার বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে চাইলেই যে কেউ বসতে পারবেন না। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। ব্যাংক খাতের সম্পদ উদ্ধারে টাস্কফোর্স কাজ করছে। যে উদ্যোগই নেয়া হোক না কেনো তা বাস্তবায়নে কয়েক বছর সময় লাগবে।
ব্যাংক গুলোকে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কারসাজি করা যাবে না। তাতে যদি কোনো ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়ে পড়ুক। সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
এজেন্ট ব্যাংকিকে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান গভর্নর বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিকে ৫০ শতাংশ এজেন্টকে অবশ্যই নারী হতে হবে। শিগগিরই এমন আদেশ জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক অন্তর্ভুক্তী নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এসময় তিনি আরও বলেন, এনআইডি জাতীয় সম্পদ। এটি নির্বাচন কমিশনের একক নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেনা। এছাড়াও ডিসেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান গভর্নর।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুত বা রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৭৪১ কোটি ডলার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ২০৪ কোটি ডলার। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ এখন যে রিজার্ভ আছে, এর সমান ছিল।
২০২৪ সালের ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সপ্তাহে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ফলে মোট রিজার্ভ ও নিট রিজার্ভ—উভয়ই বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এর আগে ১৪ এপ্রিল রিজার্ভ বেড়ে হয় ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয় ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো আয় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ছে। গত মার্চ মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে; এক মাসের হিসাবে যেকোনো সময়ের চেয়ে এটি বেশি। আর চলতি মাসের ২৬ দিনে এসেছে ২২৭ কোটি ডলার। ফলে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করছে। ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনলে আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান এলেই রিজার্ভ বাড়ে। এতে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ কমেছে। ডলারের দাম না বেড়ে ১২২ টাকায় অনেক দিন ধরে স্থির আছে। পাশাপাশি অনেক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে পারছে। ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ডলার নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ৮৫ টাকার ডলার বেড়ে ১২৮ টাকা পর্যন্ত ওঠে। সরকার পরিবর্তনের পর নানা উদ্যোগের কারণে প্রবাসী আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ছে না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। ২০২২ সালের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে অনেক ব্যাংক।