দেশে সামগ্রিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ বেড়েছে। মূলত অনলাইন ও কন্ট্যাক্টলেস পদ্ধতিতে অর্থ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় ডিজিটাল লেনদেনে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে কন্ট্যাক্টলেস পদ্ধতিতে লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণ।

দেখা গেছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৯০ শতাংশ হয়েছে ২০টি দেশে, যার শীর্ষে আছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত এক বছরে ভারতে বাংলাদেশিদের ব্যয় ১০ শতাংশ কমলেও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা পর্যটনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। থাইল্যান্ডে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ খাতে ব্যয় যথাক্রমে ২৫ ও ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার এক বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যমে সামগ্রিক ভোক্তা ব্যয় ১৪ শতাংশ এবং লেনদেনের পরিমাণ ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ব্যবহার, বিশেষত অনলাইন পেমেন্টের প্রসার, এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

ডিজিটাল মাধ্যমে ভোক্তা ব্যয়ে ই-কমার্স খাত শীর্ষে থাকলেও সরাসরি দোকানে কার্ড ব্যবহার ও অনলাইন লেনদেন—উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘ট্যাপ টু পে’ বা কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্টের ব্যবহার ২০২৩ সালে যেখানে ছিল মাত্র ৬ শতাংশ; ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ। মূলত ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ডিজিটাল মাধ্যমে মোট ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই ডিজিটাল ওয়ালেট লোডের মাধ্যমে হয়েছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণের হার বেড়েছে। কার্ডের মাধ্যমে ব্যয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বিশেষ করে বিজনেস ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে ১৩৫ শতাংশ। এ ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির পরিসর বাড়ছে।

ডিজিটাল লেনদেনের বেশির ভাগই হচ্ছে ঢাকায়। ২০২৪ সালে মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ এবং লেনদেনের ৮০ শতাংশ হয়েছে ঢাকায়। রাজধানীতে ২০২৪ সালে ব্যয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। রাজধানীর ৬০ শতাংশ ভোক্তা অনলাইন পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। গাজীপুর, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহের মতো শহরেও ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে।

ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের প্রধান সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশিদের মধ্যে ডিজিটাল ও কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত বাড়ছে। নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ভিসা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আমাদের লক্ষ্য, বিশ্বমানের সুরক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।’

খাতভিত্তিক ব্যয়ের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ভ্রমণ, ছাড়ের দোকান, ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যসেবায় স্থানীয় ব্যয় সর্বাধিক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ল নদ ন ২০২৪ স ল ল নদ ন র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • জিল হোসেন মারা গেছেন, আদালতে তাঁর লড়াই শেষ হবে কবে
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • গবাদিপশু থেকে মানুষের শরীরে ‘তড়কা’ রোগ, প্রতিরোধে যা করবেন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • কীভাবে নেট রান রেট হিসাব করা হয়, সুপার ফোর উঠতে বাংলাদেশের হিসাব কী
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে