কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে ফলকার টুর্কের মন্তব্যের সমালোচনা ভারতের
Published: 4th, March 2025 GMT
ভারতের কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের করা মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচি বলেছেন, এই মন্তব্যের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভারতের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তাই আমি জোর দিয়ে বলতে চাই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারত একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত ও বহুত্ববাদী সমাজ; যা বলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং এর সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতার সম্পর্ক নেই। ভারতের জনগণ আমাদের সম্পর্কে এ ধরনের ভুল উদ্বেগকে বারবার ভুল প্রমাণ করেছে।’
জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে ফলকার টুর্কের করা মন্তব্য নিয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, তিনি (ফলকার টুর্ক) জম্মু ও কাশ্মীর না বলে ওই অঞ্চলকে ‘ভুলভাবে কাশ্মীর হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।’ এই ভুল বর্ণনা এমন সময়ে করা হয়েছে, যখন অঞ্চলটি শান্তি ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, ‘এটা একটা প্রহসনের মতো শোনায় যখন আমরা দেখি, এই মন্তব্য তখন করা হয়েছে, যখন এই অঞ্চলের নিরাপত্তার উন্নতি, স্থানীয় নির্বাচনে রেকর্ড ভোটার উপস্থিতি, ক্রমবর্ধমান পর্যটন এবং দ্রুত অবকাঠামোগত বৃদ্ধির প্রশ্নের উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গেছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে মণিপুর প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে সহিংসতা এবং মানুষের অবস্থার উন্নতিতে সরকারের প্রচেষ্টা আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।
মণিপুর প্রসঙ্গে টুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারতের বৈচিত্র্য ও উন্মুক্ত সংস্কৃতিকে আরও গভীরভাবে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফলক র ট র ক
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি