নতুন কর্মসংস্থান কমেছে, মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 5th, March 2025 GMT
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুটা ব্যাহত হলেও সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি খারাপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় মানুষের আয়ে প্রভাব পড়েছে। কিন্তু অর্থনীতি ধ্বংসের পথে নেই; অন্তর্বর্তী সরকার বরং অর্থনীতি উদ্ধার করেছে।
একই সঙ্গে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি কমে গেছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প কমে যাওয়া এর কারণ; এ নিয়ে একনেক বৈঠকের আলোচনা হয়েছে। তবে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে এসএমই খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে। তবে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। সে জন্য নতুন কর্মসংস্থান দরকার বলে মন্তব্য করেন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কী করা হচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সংশোধন করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই খাত সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর ১৪টি কারখানা বন্ধ হেয় যাওয়ার প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেক্সিমকো বিষয়টি ছিল অনন্য, বরং সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিডার সঙ্গে কথা হয়েছে, এই শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের ঋণে গৃহীত প্রকল্পের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এসব বন্ধ করার চিন্তা নেই। সব বিষয় খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব প্রকল্প যে সরকারই নিক না কেন, তা বিবেচ্য বিষয় নয়। একটি দেশের সঙ্গে যখন এ রকম চুক্তি হয়, তখন অর্থনীতির স্বার্থ খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। চট করে প্রকল্প বাতিল করা যায় না। এ বিষয়ে তিনি যত্নবান।
আসন্ন গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। বলেন, শিল্প ও মানুষের বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের সমস্যা হবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু