বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
Published: 5th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন সানন্দখিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মোহাব্বত আলী নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী কিশোরীর দাবি, সকালে বাড়ির পাশে বসে ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশী উকিল নানা নজরুল ইসলাম তার হাতে ডিম ও টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম, আবদুল গণি ও মোহাব্বত আলী তাকে ধর্ষণ করে।
ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। নজরুল ও গণি এর আগেও আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারিনি। বুধবার সকালে নজরুলকে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যেতে দেখি। পরে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খুঁজছিলাম। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির আছিয়া খাতুনের ঘরে তালা দেওয়া দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি তাকে আমার মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আছিয়া অস্বীকার করে। আমি একটু আড়ালে গেলে আছিয়া রুমের তালা খুলে নজরুল ও গণিকে বের করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে আমি ছুটে গিয়ে ঘরের দরজায় শিকল লাগিয়ে চিৎকার করতে থাকি। পরে এলাকার লোকজন এসে রুমের ভেতর খাটের নিচ থেকে মোহাব্বত আলীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’
ধোবাউড়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য দু’জনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ আম র ম য় নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।