ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন সানন্দখিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মোহাব্বত আলী নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।  

ভুক্তভোগী কিশোরীর দাবি, সকালে বাড়ির পাশে বসে ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশী উকিল নানা নজরুল ইসলাম তার হাতে ডিম ও টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম, আবদুল গণি ও মোহাব্বত আলী তাকে ধর্ষণ করে। 

ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। নজরুল ও গণি এর আগেও আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারিনি। বুধবার সকালে নজরুলকে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যেতে দেখি। পরে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খুঁজছিলাম। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির আছিয়া খাতুনের ঘরে তালা দেওয়া দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি তাকে আমার মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আছিয়া অস্বীকার করে। আমি একটু আড়ালে গেলে আছিয়া রুমের তালা খুলে নজরুল ও গণিকে বের করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে আমি ছুটে গিয়ে ঘরের দরজায় শিকল লাগিয়ে চিৎকার করতে থাকি। পরে এলাকার লোকজন এসে রুমের ভেতর খাটের নিচ থেকে মোহাব্বত আলীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ 

ধোবাউড়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য দু’জনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ আম র ম য় নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের বিল নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চায়ের বিল দেওয়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছাত্রদলের এক নেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।

নিহত হুমায়ুন কবীর (২২) সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামে।

গৌরীপুর থানার ওসি মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, আজ সন্ধ্যায় সোনাকান্দি গ্রামের একটি দোকানে চায়ের বিল দেওয়া নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাঁর বুকে দু-তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। আহত অবস্থায় তাঁকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি বলেন, ঘটনার সময় কতজন উপস্থিত ছিলেন, কে ছুরিকাঘাত করেছেন, সে বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তাঁরা সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চায়ের বিল নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা