কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি পদসহ ৫টি পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী। আর সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে জয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা। আওয়ামী ঘরানার কোনো প্যানেল ছিল না। সবাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রার্থী হয়েছিলেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। 

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মাহবুবুর রহমান। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহিদুল আলম শহীদ ৪২১ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বার সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৮০ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন ২৯১ ভোট পেয়ে টানা পঞ্চমবার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম হুমায়ুন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।

সহ-সভাপতি হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রার্থী মো.

মানিক ও আওয়ামী ঘরানার প্রার্থী মো. আব্দুর রাশিদ ভূঞা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্য বিজয়ীরা হলেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নাদিরা সুলতানা সোমা ও শাহিনূর কলি। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. আব্দুল্লাহ আল বোখারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এএম সাজ্জাদুল হক, অডিটর পদে আবু বাক্কার সিদ্দিক। 

কমিটিতে ৫টি সদস্য পদ রয়েছে। সবাই সমঝোতার ভিত্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী ঘরানার সদস্য হলেন কফিল উদ্দিন, সারোয়ার জাহান সানি ও সোহাগ মিয়া। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের সদস্যরা হলেন, আবু তাহের হারুন ও আহসানুজ্জামান নাসির। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৬০৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫৩৭ জন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আইনজ ব হয় ছ ন ঘর ন র আওয় ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড