বলিউডের বরেণ্য তারকা দম্পতি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন। তাদের দাপুটে অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সমকালীন ফ্যাশনেও কম যান না তারা। অদ্ভূত ব্যাপার হলো— এই দুই তারকাকে দুই হাতে দুই ঘড়ি অথবা একই হাতে দুই ঘড়ি পরতে দেখা গেছে।
সাধারণত, মানুষ হাতে একটি ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন। ফলে অমিতাভ-জয়ার এমন কাণ্ড নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। এখনো অমিতাভকে দুই ঘড়ি পরতে দেখা যায়।
কয়েক দিন আগে এ দম্পতির পুত্র অভিষেক বচ্চন দুই হাতে দুই ঘড়ি পরে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন। এরপর দুই হাতে দুই ঘড়ি পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় পোজ দেন ‘সরকার’ তারকা। এরপর তিন তারকার ঘড়ি পরার ব্যাপারটি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কী কারণে হাতে দুটো ঘড়ি পরেন তারা?
আরো পড়ুন:
মাঠে খেলছেন বিরাট, গ্যালারিতে ঘুমাচ্ছেন আনুশকা!
সঞ্জয়ের বাড়িতে শর্ট ড্রেস পরে যাওয়ার অনুমতি নেই: আমিশা
এর আগে অভিষেক বচ্চন বলেন, “দুটো ঘড়ি পরার ট্রেন্ড আমার মা শুরু করেছিলেন। আমি ইউরোপে বোর্ডিংয়ে থাকতাম, তাই তিনি উভয় জায়গার সময় জানার জন্য দুটি ঘড়ি পরতেন। পরে বাবাও দুই জায়গার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য মায়ের স্টাইল অনুসরণ করতেন। তারা ইউরোপের সময় অনুসারে আমার সঙ্গে কথা বলতেন। দুটো ঘড়ি পরার এটাই মূল কারণ। কিন্তু সিনেমার জন্য বাবা এটিকে ফ্যাশনে পরিণত করেছেন।”
ব্যাপারটি কথা বলেন অমিতাভ বচ্চনও। তিনি বলেলেন, “হ্যাঁ, আমি আমার সাধারণ জীবনে কখনো দুটো, কখনো কখনো তিনটি ঘড়ি পরি। এটা কখনো মজা করে, কখনো লুকে পরিবর্তন আনার জন্য এমনটা করে থাকি।”
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।