বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, কড়া প্রতিবাদ বিজিবির
Published: 9th, March 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৮) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাটলিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বিজিবি।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়ন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে, শনিবার ভোরে এই ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪ এর সাব পিলার ৭ হতে আনুমানিক ১৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া নামক স্থানে আলামিন গরু পাচারের চেষ্টাকালে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়।
নিহত আল আমিনের বাড়ি উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, এ দিন ভোররাতে উভয় দেশের আনুমানিক ১৫-২০ জন চোরাকারবারি ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আনার সময় ৪৬ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের আওতাধিন ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কর্তব্যরত সদস্যরা বাধা প্রদান করে। এতে চোরাকারবারীদের সাথে বিএসএফ সদস্যের ধস্তাধস্তি হয় এবং একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যকে দা দিয়ে আঘাত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ দুই রাউন্ড ফায়ার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সীমান্তে হত্যার ঘটনায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক এবং ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কঠোরভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক সীমান্ত হত্যার মাধ্যমে বিএসএফ মানবাধিকার লংঘন করেছে যা অপ্রত্যাশিত এবং কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বিএসএফকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানানো হয়। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে বিএসএফ আশ্বস্ত করে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো.
ঢাকা/নাঈম/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৫৬ ব জ ব ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।