ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীর প্রতিবাদ
Published: 9th, March 2025 GMT
‘অপরাধের ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক’ এমন লেখা ব্যানার নিজ শরীরে জড়িয়ে লক্ষ্মীপুর শহরের অলি-গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় এক অভিনয় শিল্পী।
নিজের অবস্থান থেকে ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই উদ্যেগ নিয়েছেন বলে জানান রিয়াজ হোসেন জাকির নামের এই শিল্পী।
রিয়াজ হোসেন জাকিরের শরীরে জড়ানো ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মা-বোনদের ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে নরপশু ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান।’
আরো পড়ুন:
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে রুবেলের পরামর্শ
রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শহরের চকবাজার মসজিদের সামনে কথা হলে রিয়াজ হোসেন জাকির বলেন, “বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং একজন সাংস্কৃতিককর্মী হিসেবে আমি ধর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আগামীতে আমাদের দেশে যেন এ ধরনের অপরাধ কেউ না করে সেজন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “দেশের বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে চাই। বিশেষ করে মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এর আগে, গতকাল শনিবার এই শিল্পীকে লক্ষ্মীপুর শহরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় শরীরে ব্যানার নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
জাকির হোসেন রিয়াজ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার অভিনয় শিল্পী। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাসিন্দা।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ